স্বার্থ মগ্ন যে জন বিমুখ জগৎ হতে সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে
যার্থপর মানুষ নীচ, হীন। যে আত্মস্বার্থ নিয়ে মশগুল থাকে তার জীবনের কোনো মূল্য নেই। নিজ স্বার্থ মগ্ন যে ব্যক্তি জগৎ থেকে বিমুখ এবং সে বাঁচিতে শেখেনি কখনো।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জিত হয়েছে তার বিচিত্র কর্মসাধনা দ্বারা। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ এককভাবে সয়ংসম্পূর্ণ নয়। তাই পারস্পরিক সাহায্য, সহানুভূতি, সহমর্মিতার মাধ্যমে তার জীবনযাপন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া প্রকৃতির নিয়মে মানুষ মরণশীল। চিরকাল পৃথিবীতে টিকে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়। পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সহযোগিতা ও কল্যাণ কামনার মাধ্যমে একদিকে যেমন মানুষ জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়- তেমনি নিজেকে অপরের হৃদয়ে তথা দেশ, জাতি, সমাজ, সংসার, আন্তরিকতা ও মর্যাদার চিরস্থায়ী আসনে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়। সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা, মঙ্গল চিন্তা, জগতের শুভাশুভ বোধ মানুষের টিকে থাকাও মনুষ্যত্বের নিয়ামক। কিন্তু লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, ঈর্ষাপরায়ণতা, অকল্যাণ চিন্তা এগুলো মানুষের মনুষ্যত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও জীবনধারণের পরিপন্থী।