উঃ ছওয়াবের নিয়ত করে যে ইবাদত করা হয়; অথচ তার পক্ষে শরিয়তে দলিল পাওয়া যায় না,তাকেই বিদাআত বলে। বর্তমানে প্রচলিত কিছু বিদাআত যেমন, নামাজে মুখে নিয়ত পাঠ, মিলাদুন্নবী, দলবদ্ধ যিকির, কুলখানী, চল্লিশা,খতমে জালালী-ইউনুস,ফাতেহাখানি, নতুন দোকান বা বাড়ীতে প্রচলিত মিলাদ, মৃত্যু ও জন্মবার্ষিকী, মৃত ব্যক্তির কাযা নামাজের কফফারা,ইলিয়সী তবলিগ জামাত,চিল্লা দেয়া, পিরের কাছে মুরীদ হওয়া, সম্মিলিত/আখেরী মোনাজাত ইত্যাদি। সাবধান! বিদাআত কোন ছোট খাট গুনাহ নয়! আল্লাহতালা ইতিপূর্বে যুগে যুগে গোত্র-গোত্রে বহু নবী-রসুল পাঠিয়ে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন, কিন্তু বান্দারা আল্লাহর ওহীর সাথে বিদাআত মিশ্রণ করে বার বার নুতন নুতন ধর্ম তৈরী করে নেয়। তাই সর্বশেষে আল্লাহ্ বিদাআতের ব্যাপারে কঠোর হয়ে বলেন, "বিদাআতীর সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নাই'। "আমি তোমাদের জন্য নির্ধারিত করেছি দীন বা জীবন ব্যবস্হা, যার নির্দেশ দিয়েছিলাম নূহকে, যা আমি প্রত্যাদেশ করেছি তোমাকে, যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম, মুসা, ঈসাকে এই বলে যে তোমরা ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত কর। এবং এতে মতভেদ সৃষ্টি করো না" (সুরা রূম:৫০)।। আরও দলিল দেখুনঃ------------------------ নবী(স) বলেন, আল্লাহতালা বিদাআতী ব্যক্তির নেক আমল ততক্ষন পর্যন্ত কবুল করেন না, যতক্ষন না সে তার বিদাআত পরিহার করবে" (মাজহাব:৫০) বিদাতকারীর কোন ইবাদত কবুল হয় না।(বুখারী:৩১৮০)। প্রত্যেক বিদাআত হল ভ্রষ্টতা এবং ভ্রষ্টতার পরিনাম জাহান্নাম (মুসলিম:১৫৩৫) আল্লাহ্ বলেন, বিদাআতীদের পরিনতি অত্যান্ত ভয়াবহ হবে। আমি কি তোমাদের ক্ষতিগ্রস্হ আমলকারীদের সম্পর্কে জানিয়ে দিব? (দুনিয়াবী জীবনে) জীবনে যাদের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে গেছে। অথচ তারা ভাবে যে তারা সুন্দর আমলই করে যাচ্ছে (সুরা কাহাফঃ১০৩, ১০৪)। রসুল(সাঃ) বলেন, প্রতিটি 'বিদআত'(দ্বীনী বিষয়ে নবাবিষ্কার) হচ্ছে ভ্রষ্টতা (আবু দাউদ ও তিরমিঝী, রিয়াদুস সালিহীনঃ১৫৭) আমাদের নবী(সাঃ) যে সব আমল করে দেখান নি, হউক তা ভাল কিংবা খারাপ? তা আমল করাকে বিদাআত বলে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে রসুল সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা অনুযায়ী জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুক আমীন ইয়া রব্বুল আলামীন


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে