এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড + ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Aluminium Hydroxide + Magnesium Hydroxide) এ আছে Aluminium Hydroxide + Magnesium Hydroxide (এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড + ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড)। এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড + ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড (Aluminium Hydroxide + Magnesium Hydroxide) এর কাজ, খাওয়ার নিয়ম, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মাত্রা ও সেবনবিধি, সতর্কতা, মিথষ্ক্রিয়া, গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার, মাত্রাধিক্যতাঃ

এন্টাসিড একটি নন-সিস্টেমিক অ¤øনাশক এবং ইহাতে এ্যালুমিনিয়াম হাইড্রোক্সাইড এবং ম্যাগনেশিয়াম হাইড্রোক্সাইড চমৎকারভাবে সমন্বিত। ইহা অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এবং দীর্ঘক্ষন কার্যকরী অম্লনাশক। অন্ত্র ও পাকস্থলীর সংবেদনশীল পর্দাতে মিউকোসার উপর অক্সিকোন আচ্ছাদন তৈরী করে, ফলে অন্ত্রকে পুনরাক্রমণ থেকে রক্ষা করে ক্ষতের নিরাময় ত্বরান্বিত করে। এন্টাসিড একটি নির্ভরযোগ্য অম্লনাশক যার ব্যবহারে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া হয়না।

কাজ

অম্লাধিক্য (হাইপার এসিডিটি), পাকস্থলী বা অন্ত্রে ঘা (পেপটিক আলসার), পাকস্থলীর প্রদাহ (গ্যাস্ট্রাইটিস), বুক জ্বালা (হার্টবার্ন) এবং বদহজমে (ডিসপেপসিয়া) নির্দেশিত।

এন্টাসিড বিশেষভাবে তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী অন্ত্রের প্রদাহ, পাকস্থলি এবং ডিওডেনাল আলসার, রিফ্লাক্সজনিত খাদ্যনালীর প্রদাহ, বুক জ্বালা, অম্ল ঢেকুর ইত্যাদি রোগে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এ্যালকোহল, তামাক, কফি ইত্যাদি গ্রহণের ফলে অম্লের অস্বাচ্ছন্দ্যে ঔষধ গ্রহণের কারণে অথবা অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণের ফলে সৃষ্ট অম্লের অস্বাচ্ছন্দ্যে নির্দেশিত। এন্টাসিড গ্যাস্ট্রিক হাইপারএসিডিটি উপশমে ব্যবহৃত হয়।

থেরাপিউটিক ক্লাস

Antacids

মাত্রা ও সেবনবিধি

  • ট্যাবলেট : ১-২ টি ট্যাবলেট খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং রাত্রে শােবার সময়।
  • সাসপেনশন : চা চামচের ১-২ চামচ খাবার ১-৩ ঘণ্টা পরে এবং শােবার সময়।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া

দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারে এলকালইউরিয়া এবং নেফ্রোলিথিয়াসিস হতে পারে।

সতর্কতা

যেসব রােগীদের হাইপােফসফেটেমিয়া আছে তাদের এটি দেয়া যাবে না। এন্টাসিড এন্টিকোলিরার্জিক এজেন্ট, কিটোকোনাজল, ডিগোক্সিন, কুইনাইন, ওয়ারফেরিন, টেট্রাসাইক্লিন, আয়রন প্রভৃতি ঔষধের শোষন কমিয়ে দিতে পারে। এ সমস্ত ঔষধের সাথে এন্টাসিড না খাওয়াই ভালো। একই সাথে নির্দেশিত হলে অন্ততঃপক্ষে ১ থেকে ২ ঘন্টার ব্যবধানে খাওয়া যেতে পারে।

ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া

এই ওষুধটি নিম্নলিখিত ওষুধগুলির শোষণকে বাধা দেয়: অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সেফপোডক্সাইম, সিপ্রোফ্লোকসাকিন, আইসোনিয়াজিড, রিফাম্পিসিন, নরফ্লোকস্যাকিন, অফলোক্সাসিন, পাইভাম্পিসিলিন, টেট্রাসাইক্লাইনস, গ্যাবাপেন্টিন এবং ফেনাইটিন, ইট্রাকোনাজিকিন, ক্লোরোকোনেজিন, ক্লোরোকোনেজিন।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে ব্যবহার

গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসে এন্টাসিড ব্যবহার না করার পরামর্শ দেয়া হয়।

প্রতিলক্ষণ

এন্টাসিড এর উপাদানের প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে প্রতিনির্দেশিত।

সংরক্ষণ

বাচ্চাদের নাগালের বাইরে শীতল ও শুকনো জায়গায় রাখুন।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে