1960 সালে ইথোলজিস্ট ডেসমোন্ড মোরিস প্রস্তাব করেন, যখন আমাদের পূর্বসূরীরা দু-পায়ে হাঁটতে শিখে, যে সকচুয়াল সিগনালটি প্রথম সুসজ্জিত হয় সেটি ছিল তাদের পশ্চাতদেশ, যা বুক ও মাথাকে সাজানোর জন্য Evolve হয়েছিল । এবার তাদের জিনের মধ্যে ইনভার্সন ঘটে। যার ফলে তাদের ঠোঁট লাল হয়ে যায় যৌনাঙ্গের লাল মুখকে মিমিক্রি করতে গিয়ে। এবং আনত মাংসল স্তন বিবর্তিত হয় যাতে করে পেছনের স্ফিত নিতম্বকে মিমিক্রি করা যায়৷ নারীর ব্রেস্ট মূলত নিতম্বের কপিপেস্টেশন আর তার রক্তিম ভেজা ঠোঁট তার ভেজাইনার রক্তাত্ব ঠোঁটেরই প্রতিফলন! কিন্তু কেন এ মিমিক্রি? আমাদের প্রাচীন পুরুষরা মূলত নারীর স্তন ও ঠোঁটের মধ্য দিয়ে তার নিতম্ব ও যৌনিকে দেখতে পেত! আর এ জন্য তারা নারীর প্রতি আকর্ষণ বোধ করতো! যদি তাই হয়ে থাকে তবে পোশাকের মাধ্যমে নারীর সৌন্দর্য গোপন করা যায়না! আমরা নারীর ঠোঁট দেখেই বলে দিতে পারি তার ভেজাইনা কতটা আকর্ষণীয়। কোমরের সাইজ গলার সাইজের দ্বিগুণ আর তাই আমরা গলার সাইজ মেপেই কোমরের আকার বলে দিতে পারি। নারীর ঠোঁটই তার ভেজাইনা, আর সম্ভবত এ জন্যই পুরুষ ঠোট চুষতে চায় এবং তার ঠোঁটের ফাঁকে পেনিস ইনপুট করতে তীব্র আগ্রহ অনুভব করে। বিজ্ঞানীরা ব্রেস্টকে ব্যাখ্যা করার জন্য কয়েকটি হাইপোথেসিস উপস্থাপন করেছেন । সম্ভবত ব্রেস্ট বিবর্তিত হয়েছে “Ovulatory Potential “ এর একটি সিগনাল হিসেবে। কারণ আমাদের প্রাচীন পূর্বসূরিদের মধ্যে প্রজনন উপযোগী মেয়েদের ব্রেস্ট শিশু ও মেনোপজ পরবর্তী নারীদের থেকে বড় ছিল। প্রাচীন পুরুষরা বড় ব্রেস্ট দেখলে এ জন্য তুলনামূলকভাবে বেশি আকর্ষণবোধ করতো কারণ সেটা উর্বরতার সংকেত! (Gallup 1982; Marlowe 1998) আর একটি তত্ত্ব বলছে, প্রাইমেটদের ব্রেস্ট তখনই বড় হতো যখন তারা নার্সে পরিণত হয়, অতএব ব্রেস্ট সম্ভবত একটি পতাকা, যা নারীদের প্রজনন ক্ষমতার বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে এবং তরুণদের খাবার দেয় একজন ভালো মায়ের সিগনাল! (Lancaster 1986)আবার অনেকে বলছে, এটা আসলে একটা প্রতারণা, নারীর ব্রেস্ট পুরুষের ব্রেনকে প্রতারিত করে এটা ভেবে নিতে যে, ঐ নারীর ভালো প্রজনন ক্ষমতা আছে! (Low et al.1987) অন্য আর একটি মজার প্রস্তাব হলো, ব্রেস্ট আসলে প্রাথমিকভাবে চর্বির গুদামঘর, একটি গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষণ। যা গর্ভকাল ও স্তন্যপানের সময় কাজে লাগে এবং কখনো দুর্ভিক্ষ দেখা দিলে এটা খাওয়া যায়। সবগুলো থিয়োরিই জেনেটিক সেন্স তৈরি করে। হেলেন ফিশার বলেন, কিন্তু খারাপ ডিজাইনটি হলো, ম্যামারি গ্ল্যান্ডের চারপাশে স্ফিত অংশটি খুব খারাপভাবে স্থাপন করা হয়েছে। নারীরা যখন দৌড়ায় তখন এগুলো খুব ব্যাথাদায়কভাবে দুলতে থাকে। তারা সামনের দিকে আচড়ে পড়ে যায় তাদের ভিশন ঠিক রাখতে গিয়ে যখন সে খাবার সংগ্রহ করতে বের হয়। সন্তান যখন স্তন পান করে তখন তাদের ধম বন্ধ হয়ে আসতে পারে। এছাড়া ব্রেস্ট খুবই সেনসেটিভ। সামান্য স্পর্শে নারীর নিপলে ব্যাথা লাগে। অনেকগুলো ভালোবাসার বস্তুর মধ্যে ব্রেস্ট একটি যেটি সেকচুয়াল স্টিমুলেশন বাড়িয়ে দেয়। ফিশার বলেন, অতএব আমরা মরিসের অরিজিনাল থিয়োরিটি বাতিল করে দিতে পারিনা যেটি বলছে নারীর স্তন যৌন উদ্দেশ্যে বিবর্তিত হয়েছে আরো কয়েকটি এডাপ্টিভ পারপাসের মধ্যে। প্রাচীন পুরুষরা সম্ভবত নারীর ব্রেস্ট পছন্দ করতেন এবং সেকচুয়ালি রেসপন্সিভ নারীদের সাথে ব্রিড করতেন, নারীদের বিশ্বজনীন সাজসজ্জার একটি অংশ হিসেবে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে