আমি সাধারণত গ্রামে থাকি।ঢাকাতে আসতে হয়েছে ইন্টার্নি এর সুবাদে, এখানে আসার পর থেকে আমার পায়খানা ঠিক মতো হচ্ছে না।অনেক শক্ত।এমনি পায়খানার বেগ ও আসছে না।কি করতে পারি।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয়?
নানাবিধ কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন ও গুরুত্বপূর্ণ ৬টি কারণ হলো—

1. খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ না থাকা
2. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা
3. শুয়ে-বসে থাকা ও শারীরিক পরিশ্রমের অভাব
4. পায়খানার বেগ আসলে তা চেপে রাখা
5. মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা
6. ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
এই কারণগুলো কিভাবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সৃষ্টি করে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে এগুলো সমাধান করা সহজ হবে।


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কীভাবে ফাইবার যোগ করবেন? জেনে নিন আমাদের সহজ ৫টি টিপস—

১. ভাত বা রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে লাল চাল ও লাল আটা ব্যবহার করতে পারেন। এগুলোতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকে।

২. প্রতিবেলার খাবারে ডাল রাখতে পারেন। ডালে যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার থাকে।

৩. প্রতিবেলার খাবারে কয়েক ধরনের বা সম্ভব না হলে কমপক্ষে এক ধরনের সবজি রাখতে হবে।

৪. যেসব ফল বা সবজি খোসাসহ খাওয়া যায় সেগুলো খোসা না ফেলে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারণ খোসায় উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে। টমেটো, আপেল ও আলুর মতো খাবারগুলো খোসাসহ খেতে পারেন। তবে খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোমতো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে।

৫. যেকোনো ফল বা সবজি গোটা বা আস্ত খেলে ভালো ফাইবার পাওয়া যায়। জুস বা ভর্তা বানিয়ে খেলে আঁশের পরিমাণ কমে যায়।


কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঔষধ: ইসবগুলের ভুসি

ইতোমধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিলে ইসবগুলের ভুসি খেতে পারেন। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি একটি চমৎকার ঘরোয়া ঔষধ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুসি পানি শোষণ ও ধারণ করার মাধ্যমে পায়খানা নরম করে, ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। সাধারণত দিনে দুইবার ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে এটি খাবার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম আছে, যা বেশিরভাগ মানুষেরই অজানা। আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ইসবগুলের ভুসি খাওয়া সম্পর্কিত আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। ভুসি খেলে সারাদিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করার বিষয়টি ভুলে যাওয়া যাবে না।


দিনে অন্তত 3/4 লিটার পানি পান করতে হবে
পানি পায়খানা নরম করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর কর‍তে সহায়তা করে। এ ছাড়া ফাইবারজাতীয় খাবার প্রচুর পানি শোষণ করে। তাই ডায়েটে ফাইবার বাড়ানোর সাথে সাথে পানি পান করার পরিমাণও বাড়াতে হবে। যথেষ্ট পরিমাণে ফাইবার ও পানি খেলে সাধারণত কয়েকদিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

ফাইবারের সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করা না হলে পেটের ভেতরে থাকা নাড়িভুঁড়ির মুখ আটকে যেতে পারে। এমন অবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে যেতে হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে দিনে কমপক্ষে 3/4 লিটার পানি পান করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Unknown

Call

পায়খানা শক্ত হতেপারে এমন খাবার খাবেন না। বেশি বেশি তরল জাতীয় খাবার খাবেন।

আপাতত আপনে প্রতিদিন ইসব গুলের ভুসি গরম পানিতে ৩বেলা খাওয়ার চেষ্টা করেন। পায়খানা নরম করার জন্য ২-১ দিন ঝাউ গ্রামের ভাষায় অইটা খেতে পারেন। আর সাবধান হওয়া উচিত কারণ এরকম চলতে থাকলে আপনার পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত আসতে পারে। সাধারণ কশা রোগের কারণে পায়খানার রাস্তার টিসু গুলা ফেটে যায়। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ