সম্রাট জালালুদ্দিন মুহাম্মদ আকবর ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে দ্বীনে ইলাহি চালু করেছিলেন।তিনি ইসলাম,হিন্দু,জৈন, পারসি ও খ্রীষ্টান ধর্মের সংমিশ্রনে দ্বীনে ইলাহি তৈরী করেন।তার এ ধর্মের কালেমা ছিল"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবর খলিফাতুল্লাহ"।এ ধর্মে একজন আরেক জননের সাথে দেখা হলে সালামের পরিবর্তে একজন "আল্লাহু আকবর" বলতো জবাবে আরেকজন "জাল্লা জালালুহু" বলতেন।তাকে সিজদা দেওয়ার আইন করেন। তার এ কাজের বিরুধিতা করায় করারেন তৎকালিন মুজাদ্দিদে আল ভিসানি (র.) কে জেলে আটকানো হয়।তাকে যখন সম্রাটেরর দরবারে দাওয়াত দোওয়া হয়েছিল তখন দরবারের গেটটা নিচু করে বানানো হয়েছিল।যাতে কেউ প্রবেশ করলে মাথা নিচু করে ঢুকে, আর এটাই আকবর সিজদা হিসেবে ধরে নিতেন।ভিসানি (র) এটা দেখে মাথা নিচু না করে সম্রাটের দরবারে নিজের বাম পা আগে প্রবেশ করান।এ অপরাধেও তাকে জেলে বন্দি করা হয়।কয়েক মাস পর জেলের জেলার সাহেব সম্রাটের দরবারে চিঠি লেখেন "জাঁহাপনা! জেল তো হয় চোরের জন্য ডাকাতের জন্য কিন্তু মুজাদ্দিদে আল ভিসানি নামক যে লোকটাকে জেলের মধ্যে পাঠিয়েছেন তিনি আসার পরে এ জেলের যত চোর আর ডাকাত ছিল সব আল্লাহর ওলিতে পরিণত হয়ে গিয়েছে"।সম্রাট আকবরের সেকেন্দ্রায় কবর রয়েছে কেউ যিয়ারত করতে যায় না,মুজাদ্দিদে আল ভিসানি (র.) ওরফে খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি (র.) এর দরবারে আজও হাজার হাজার মানুষ যিয়ারত করতে যায়।কারন,দ্বীনদার, ঈমানদার ব্যাক্তির মহব্বত আল্লাহ তায়ালা মানুষদের মধ্যে তৈরী করে দেয়।