বৃক্কের কাজ একজন স্বাভাবিক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ মিলিমিটার মূত্র ত্যাগ করে। মুত্রে ইউরিয়া ইউরিক অ্যাসিড অ্যামোনিয়া ক্রিয়েটিনিন ইত্যাদি নাইট্রোজেন গঠিত পদার্থ থাকে। এগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এসব অপ্রয়োজনীয় এবং ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ মূত্রের মাধ্যমে অপসারণে বৃক্ষ অত্যন্ত ভূমিকা পালন করে। বৃক্ষ বা কিডনির ভেতরে নেফ্রন একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে মূত্র উৎপন্ন করে। উৎপন্ন মূত্র সংগ্রহের মালিকের মাধ্যমে বৃক্কের পেলভিশে পৌঁছায় এবং পেলভিস থেকে  ইউরেটারের ফানেল আকৃতির প্রশস্ত অংশ রেটারে প্রবেশ করে। ইউরেটার থেকে মূত্র মূত্রথলিতে আসে এবং সাময়িকভাবে জমা থাকে। মূত্র দিয়ে মূত্রথলির একটা নির্দিষ্ট পর্যায়ে পর্যন্ত পূর্ণ হলে  মূত্রথলির   মুত্র নালীর মাধ্যমে দেহের বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে আসে। এভাবে বৃক্ষ বা কিডনি মানব দেহ থেকে ক্ষতিকর নাইট্রোজেন জাতীয় পদার্থ সমূহ বিভিন্ন বর্জ্য অপসারণ করে। বৃক্ষ মানবদেহে সোডিয়াম পটাশিয়াম ক্লোরাইড পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও মানব দেহের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ পানি অম্ল এবং ক্ষারের ভাষাম্য রক্ষা করে। অশমোরেগুলেশনে বৃক্ষের ভূমিকা, যাবতীয় শরীর ভিত্তিক কাজ সম্পাদনের জন্য মানবদেহে পরিমিত পানি থেকে। মূলত মূত্রের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পানি দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। দেহের পানি সাম্য নিয়ন্ত্রণে বৃক্ষ প্রধান ভূমিকা পালন করে। বৃক্ষ নেফ্রনের মাধ্যমে পুনঃ শোষণ প্রক্রিয়া দেহে পানি সমতা বজায় রাখে। গোলমেরুল আছে রেচন বর্জ্য পানি এবং অন্যান্য তরল পদার্থ পরিস্রুত হয়। বৃক্ষ অকার্যকর হয়ে গেলে দেহে পানি জমতে থাকে। চোখ মুখ সহ সারা শরীর ফুলে যেতে পারে এমনকি উচ্চ রক্তচাপ ও সৃষ্টি হতে পারে। এগুলো প্রকৃতপক্ষে অসম রেগুলেশন জনিত ত্রুটির লক্ষণ। ব্ক্কি পাথর, নানারকম রোগের কারণে বৃক্ক বা কিডনির স্বাভাবিক কাজে বিঘ্ন ঘটে। কিডনির প্রদাহ প্রসাবে সমস্যা কিডনির তে পাথর হওয়া এর মাঝে উল্লেখযোগ্য। কিডনি রোগের লক্ষণ গুলো হলো শরীর ফুলে যাওয়া প্রসাবে অতিরিক্ত প্রোটিন যাওয়া রক্ত মিশ্রিত প্রসব হওয়া প্রসাবে জ্বালাপোড়া করা ঘনঘন প্রসাব হওয়া বা ক্ষেত্র বিশেষে প্রসাব বন্ধ হয়ে যাওয়া। মানুষের কিডনিতে ছোট আকারে পাথর জাতীয় পদার্থের সৃষ্টি বৃক্ষ বা কিডনির পাথর হিসেবে পরিচিত। কিডনিতে পাথর সবারই হতে পারে তবে দেখা গেছে মেয়েদের থেকে পুরুষের পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি। অতিরিক্ত শারীরিক ওজন কিডনির সংক্রমণ কোম্পানি পান করা ইত্যাদি বৃক্ষ বা কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে বৃক্ষে পাথর হলে তেমন সমস্যা ধরা পড়ে না। সমস্যা হয় যখন পাথর প্রসাবনালীতে চলে আসে এবং প্রসাবে বাধা দেয়। উপসর্গ হিসেবে কোমরের পেছনে ব্যথা হবে। অনেকের প্রসাবের সাথে রক্ত বের হয়। অনেক সময় কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে। বৃক্কের পাথরের চিকিৎসা নির্ভর করে পাথরের আকার এবং অবস্থানের ওপর। সাধারণত অধিক পানির গ্রহণ এবং ঔষধ জীবনে পাথর অপসারণ করা যায়। আধুনিক পদ্ধতিতে ইউরেটার ও স্কোপি পিক কিং বালট্রাসোনিক লিপসি অথবা ব্রিককে অস্ত্রোপাচার করে পাথর অপসারণ করা যায়।

বৃক্ষ বিকল ডায়ালাইসিস ও প্রতি স্থাপন, নেফ্রাইটিস ডায়াবেটিসাপ কিডনিতে পাথর ইটালি কারনে কিডনি ধীরে ধীরে বিকাল হয়ে যায় আকস্মিক কিডনি ওকেজো বা বিকল হওয়ার কারণগুলো হলো  কিছু ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মারাত্মক ডায়রিয়া অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ইত্যাদি। কিডনি বিকল হলে মূত্রের পরিমাণ কমে যাবে। রক্তের ক্রিয়েটিনের বৃদ্ধি পাবে। তখন রক্তের বর্জ্য দ্রব্যাদি অপসারণের জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর রোগীকে ডায়ালাইসিস করা হয়।

। ডায়ালাইসিস, বৃক্ষ অসম্পূর্ণ অকেজ বা বিকল হওয়ার পর বৈজ্ঞানিক উপায়ে রক্ত পরিশোধিত করার নামই  ডায়ালাইসিস। সাধারণত ডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্যে রক্ত পরিশোধিত করা হয়। এ মেশিনের ডায়ালাইসিসির এক প্রান্ত রোগীর হাতের ধমনীর সাথে এবং অন্য প্রান্ত ঐক্য হাতের কব্জির শিরার সাথে সংযোজন করা হয়। ধমনী থেকে রক্ত ডায়ালাইসিস টিউব এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করানো হয়। এর প্রাচীর আংশিক বৈষমবৃদ্ধ হওয়ায় ইউরিয়া ইউরিক অ্যাসিড এবং অন্যান্য ক্ষতিকর পদার্থ বাইরে বেরিয়ে আসে। পরিশোধিত রক্ত রোগীর দেহের শিরার মধ্য দিয়ে দেহের ভেতর পুনরায় প্রবেশ করে। এখানে উল্লেখ্য ডায়ালাইসিস টিউটি এমন একটি তরলের মধ্যে ঢুকানো থাকে যার গঠন রক্তের প্লাজমার অনুরূপ হয়। এভাবে ডায়ালাইসিস মেশিনের সাহায্য নাইট্রোজেন ঘটিত ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ ইউরিয়া এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ বাইরে নিষ্পেষিত হয়। তবে এটি একটি ব্যবহার এবং সময় সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।

সতর্কতা, অনেকে ডায়রিয়া বা বমি ছাড়াই গরমে থেমে গেলে ক্লান্ত অবস্থায় কিংবা তেমন কোনো কারণ ছাড়াই খাবার স্যালাইন পান করে থাকেন। এটি একেবারেই ঠিক নয় বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের বেলায় ডায়রিয়া বা বমি ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খাবার স্যালাইন বিপদডেকে আনে। এমনকি ডায়রিয়া বা বমি হলেও তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক সঠিক পরিমাণের স্যালাইন দিতে হবে। সাধারণ ক্লান্তি বা ঘামের ক্ষেত্রে লেবুর রস এবং সামান্য লবন মিশ্রিত সর্বতি যথেষ্ট। ডায়াবেটিকস না থাকলে তো কিছুটা চিনিও যোগ করা যেতে পারে।

মূত্রনালী সুস্থ রাখার উপায়, শিশুদের টনসিল বা থেকে সাবধান হওয়া প্রয়োজন কেননা সেখান থেকে কিডনির অসুখ হতে পারে। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার। ডায়রিয়া ও রক্তক্ষরণ ইত্যাদির দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে। ধূমপান ত্যাগ করা এবং ব্যথা নিরাময়ের ঔষধ পরিহার করা প্রয়োজন। পানি পান করতে হবে পরিমাণ মতো। সবচেয়ে বড় কথা, নিয়ম মেনে জীবন যাপন করতে হবে তাহলে বৃক্ষ বা কিডনি রোগ থেকে মুক্ত থাকা যাবে এবং সুষ্ঠুভাবে জীবন যাপন করতে হবে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে