তকবির তাশরিক হলো: একজন ফেরেশতা ও একজন নবী এবং একজন ভাবী নবী— এই মহান ব্যক্তিত্রয়ের পবিত্র কালাম-সমষ্টি।

বিস্তারিত হলো— সাইয়্যেদুনা হজরত ইবরাহিম (আ.) আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে আদিষ্ট হয়ে স্বীয়পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) যখন জবেহ করতে পূর্ণ প্রস্তুত হলেন, তখন হজরত জিবরাইল (আ.) আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে হাবিলের কোরবানি করা দুম্বাটি নিয়ে রওনা হলেন। তার সন্দেহ হচ্ছিল, হয়তো তিনি জমিনে পৌঁছানোর আগেই হজরত ইবরাহিম (আ.) জবেহের কাজ সম্পন্ন করে ফেলবেন। তাই তিনি আকাশ থেকেই উচ্চ স্বরে আওয়াজ দিয়ে বললেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার’। হজরত ইবরাহিম (আ.) তার কণ্ঠ শুনে আকাশপানে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দেখলেন, হজরত জিবরাইল (আ.)-এর ছেলে ইসমাইলের পরিবর্তে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা নিয়ে আসছেন। ফলে তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে বলে উঠলেন, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আল্লাহু আকবার। বাবার মুখে আল্লাহর একত্ববাদ ও বড়ত্বের বাণী শ্রবণে করে ছেলে ইসমাইল (আ.) ও আল্লাহর জালাল ও হামদ পেশ করে বললেন, ‘আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল্ হামদ। 

এই আমাল আল্লাহর কাছে এতই পছন্দ হলো যে, কিয়ামত পর্যন্ত মানুষের জন্য এটা ওয়াজিব করে দিয়েছেন।

আরাফার দিন, অর্থা‍ৎ ৯ জিলহজ তারিখের ফজরের নামাজ থেকে শুরু করে ১৩ জিলহজ (এই ৫ দিনকে আইয়ামে তাশরিক বলা হয়) আসর নামাজ পর্যন্ত প্রতি ফরজ নামাজান্তে মুসল্লি চাই একাকী হোক বা জামাতে নামাজ আদায়কারী, পুরুষ হোক বা মহিলা- সবারই একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর মহিলারা অনুচ্চ স্বরে এই তাকবির বলবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ