শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অ-, অন্ অর্থ

সংস্কৃত ব্যাকরণ এবং তদনুসারী অন্যান্য ভাষার ব্যকরণে এ দুটি ‘নঞ’ অব্যয়ের রূপান্তর। নঞ্ তৎপুরুষ সমাসে ব্যাসবাক্যে যে ‘ন’ থাকে তা উত্তরপদের আদি বর্ণ ব্যঞ্জন হলে ‘অ’ হয়, স্বর থাকলে ‘অন্’ হয়। ‘ন’ দ্বারা অভাব, অল্পতা, অপ্রশস্ততা, অন্যত্ব, সাদৃশ্য ও বিরোধ-এই ছয় প্রকার অর্থ প্রকাশিত হয়; যথা: অভাবার্থে (ন[অ]+যত্ন=অযত্ন, ন[অন]+গতি = অগতি-অগতির গতি); অল্পতা অর্থে(ন[অন]+আয়াস = অনায়াস); অপ্রশস্ততা অর্থে(ন[অ]+কাল=অকাল, ন[অ]+সময়=অসময়); অন্যত্ব অর্থে(ন[অ]+ঘট=অঘট, ন[অ]+মুসলিম=অমুসলিম); সাদৃশ্যার্থে(ন[অ]+ব্রাহ্মন = অব্রাহ্মন-ব্রাহ্মননের মতো, যেমন-ক্ষত্রিয়); বিরোধ অর্থে(ন[অ]+ধর্ম = অধর্ম, ন[অ]+সুর=অসুর)। মধ্য বাংলায় ‘অ’ পূর্ণতা অর্থেও ব্যবহৃত হতো। যথা: অকুমারী=পূর্ণ যৌবনপ্রাপ্ত কুমারী, তরুনী। {(তৎসম বা সংস্কৃত)}

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ