পারস্পরিক হস্তমৈথুন এর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দুই বা ততোধিক ব্যক্তি একে অপরের যৌনাঙ্গ কে হাত দ্বারা উত্তেজিত করে। শারীরিকভাবে সক্ষম, যৌনসঙ্গম করতে প্রস্তুত না থাকলে বা ভেদী যৌনসঙ্গম করলেও পারস্পরিক হস্তমৈথুন করা হয়। কামকেলি হিসেবে সম্পূর্ণ যৌনক্রিয়ার একটি অংশ হিসেবেই এ ক্রীয়া সম্পন্ন হয় এবং অনেকের জন্যই এটি একপ্রকার যৌন চাহিদা মাত্র।
পারস্পরিক স্বমেহনের বিভিন্ন প্রকরণের একটি হলো হস্তমৈথুন (ব্যক্তি কর্তৃক পুরুষের শিশ্ন অথবা মুষ্ক থলিতে হাতের মাধ্যমে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টি) এবং অঙ্গুলিসঞ্চালন (ব্যক্তি কর্তৃক নারীর যোনি, ভগাঙ্কুর যোনিদ্বারের অন্যান্য অংশে উত্তেজনা তৈরী)। বহির্যোনাঙ্গে উত্তেজনা তৈরী করা যেতে পারে পায়ের মাধ্যমে এবং হস্ত ব্যবহার করে পায়ুতেও উত্তেজনা তৈরী করা যায়।
ঘর্ষকামের মতই পারস্পরিক হস্তমৈথুন নামক যৌনক্রীয়া শিশ্ন-যোনিতে প্রবেশের বিকল্প হিসেবে সম্পন্ন হয়। এ ধরনের যৌন ক্রিয়ায় সতীত্ব বজায় থাকে এবং গর্ভধারণের ঝুঁকি এড়ানো যায়। এর ফলে এক বা একাধিক ব্যক্তি উত্তেজনা লাভ করতে পারে। যদি কোনোরুপ শারীরিক রস বিনিময় না হয়, তবে পারস্পরিক হস্তমৈথুনকে নিরাপদ যৌনতার প্রকারভেদ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এর ফলে যৌন রোগসমূহের সংক্রমণের সম্ভাবনা বহূগুন হ্রাস পায়।
সঙ্গীর সাথে থাকা অবস্থায় হাত দিয়ে বহির্যোনাঙ্গে ঘর্ষনের মাধ্যমে উত্তেজনায় পৌঁছানো অথবা উত্তেজনাকে বৃদ্ধি করা হয় এই ক্রীয়ায়। এক্ষেত্রে দুজন ব্যক্তিরই লক্ষ্য থাকে, একজন ব্যক্তিতে আনন্দ এবং উদ্দীপনা সৃষ্টি করা এবং তা উপভোগ করা। সাধারণত একজন ব্যক্তি প্যান্ট ছাড়া শুয়ে থাকে এবং তার সঙ্গী তার পাশে বসে থাকে। যিনি বসে থাকেন, তিনি তার হাত এবং আঙ্গুল ব্যবহার করে শিশ্ন অথবা ভগাঙ্কুর এবং অন্যান্য বহির্যোনাঙ্গে ঘর্ষণ করতে থাকেন। .শরীর জুড়ে যে সংবেদ বা উত্তেজনা তৈরি হয়, তা কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
যাইহোক এই কৌশল ব্যবহারের ফলে সংক্রামক রোগ বিশেষত এইচআইভি ছড়ানোর কোনো ঝুঁকি নেই তা বলা যায় না। কারণ এইচআইভি আক্রান্ত কোনো ব্যক্তির আঙ্গুলে ছোট ক্ষত থাকলে এবং সে তার নারী সঙ্গীর বহির্যোনাঙ্গকে উত্তেজিত করার সময়ে যোনিরসে এইচআইভি সংক্রমিত হতে পারে। একইভাবে কোনো পুরুষের বীর্য এইচআইভি বহন করলে এবং তা যদি তার সঙ্গীর চামড়ার কোনো ক্ষততে প্রবেশ করে, সঙ্গী এইচআইভি আক্রান্ত হতে পারে।