শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সাধারণ ডায়রিয়ায় কোনো ওষুধ না খেয়ে বিশ্রাম নিন, বারবার খাওয়ার স্যালাইন বা ডাবের পানি পান করুন, বেশি করে তরল খান। ডায়রিয়া হলে শুধুমাত্র খাবার স্যালাইন খেলেই হবে। খাবার স্যালাইন কিনে খাওয়া যেতে পারে। আর না হয় ঘরে হাফ লিটার পানির মধ্যে এক মুঠো গুড় ও এক চিমটি লবণ দিয়ে স্যালাইন বানিয়ে নিন। অ্যান্টিমটিলিটি ওষুধ খেলে অন্ত্রের চলন কমে যায়, ফলে বারবার টয়লেটে যাওয়ার প্রবণতা কমে। কিন্তু এটি ডায়রিয়া সারাতে সাহায্য করে -এমন কোনো প্রমাণ নেই। বাজারে ডায়রিয়া বন্ধ করার কিছু ওষুধ প্রচলিত আছে। যেমন লপেরামাইড, কোডিন-জাতীয় ওষুধ। অনেকে আবার সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা অ্যাজিথ্রোমাইসিন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন। ফ্লাজিল বা মেট্রোনিডাজলও খুব প্রচলিত। কিন্তু মনে রাখবেন, প্রয়োজন ছাড়া এগুলো খাওয়া ঠিক নয়। ডায়েরিয়া কেন হয় বেশির ভাগ ডায়রিয়াই হলো ভাইরাসজনিত, কখনো কখনো ফুড পয়জনিংয়ের কারণে হয়ে থাকে। এ ধরনের ডায়রিয়া এমনিতেই সারে। কোন ধরনের ডায়রিয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে, তার স্পষ্ট নির্দেশিকা আছে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। আসুন জেনে নেই ডায়রিয়া হলে কী করবেন। খাবার স্যালাইন ডায়রিয়া হলে খেতে হবে খাবার স্যালাইন। ওষুধ খাবার কোনো প্রয়োজন নাই। ডায়রিয়া হলে যে পানি ও লবণ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়, সেটা খাওয়ার স্যালাইন দিয়ে পূরণ করলেই চলবে। বেশির ভাগ ডায়রিয়া নিজে থেকেই সেরে যায়। তরল খাবার ডায়রিয়া হলে ডাবের পানি, ভাতের মাড়সহ যে কোনো ধরনের তরল খাবার খাওয়া যেতে পারে। তরল খাবার শরীরে জন্য বেশ উপকারী। কারণ ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায় । ওষুধ খাবেন না সাধারণ ডায়রিয়া হলে ওষুধ খবার কোনো প্রয়োজন নেই। ডায়রিয়া ঠেকাতে অনেকে ব্যস্ত হয়ে যায় ওষুধ খেতে। এক্ষেত্রে ফ্লাজিল বা মেট্রোনিডাজলও খুব প্রচলিত ওষুধ। যা হাতের কাছেই পাওয়া য়ায়। কিন্তু কোনোভাবেই ওষুধ খাবেন না। কারণ ডায়েরিয়া ৩ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই সেরে যায়। ডাক্তারের পরামর্শ সাধারণত ডায়রিয়া এমনিতে ভালো হয়। আপনি যদি কোনো সমস্যা বোধ করেন, তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কোনোভাবেই উল্টাপাল্টা ওষুধ খাওয়া যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ