শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অস্টিওপোরোসিস হাড়ের এমন একটা অবস্থা যাতে হাড়গুলি সেগুলোর ঘনত্ব হারায় এবং ভঙ্গুর (পলকা) হতে শুরু করে। এই হাড়ের দুর্বল হওয়া এবং পরিণতিস্বরূপ জটিলতাগুলি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। অস্টিওপোরোসিস-এর সবচেয়ে পরিচিত কারণগুলির মধ্যে আছে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়া (মেনোপজ) যা হরমোন-সংক্রান্ত পরিবর্তনগুলির দিকে নিয়ে যায়, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-র অভাব, এবং অন্যান্য রোগের উপস্থিতি যা হাড়ের দুর্বলতা ঘটায়। অস্টিওপোরোসিস থাকা ব্যক্তিদের সবচেয়ে বড় বিপদ হচ্ছে আঘাত এবং পতন থেকে হাড়ে চিড় ধরা (হাড়ভাঙা)। অস্টিওপোরোসিস থাকা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দুর্বল হয়ে যাওয়া হাড় এবং এছাড়া বাঁকা হাড়গুলির কারণে একটা ত্রুটিপূর্ণ অঙ্গবিন্যাস খুব দেখা যায়। হরমোন থেরাপি, খাদ্যগত পরিপূরক এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা চিকিৎসার প্রধান অবলম্বন গঠন করে। যদি প্রথমদিকে রোগের লক্ষণ চিহ্নিত হয়, হাড়গুলি অধিকতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে রক্ষা করা যেতে পারে এবং হাড়ভাঙ্গার বিপদ কমানো যেতে পারে।সাধারণত হাড় ভেঙে না যাওয়া পর্যন্ত অস্টিওপোরোসিসের কোনো উপসর্গ থাকে না। তবে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাথার সমান উচ্চতা থেকে পড়ে হালকা আঘাতেই হাড় ভেঙে যায়। আবার হাড় ভেঙে গেলে ব্যথা ও হাড়ে বাঁক তৈরি হয়। কুঁচকির হাড় ভেঙে গেলে রোগী আক্রান্ত পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াতে পারেন না এবং আক্রান্ত পা অন্য পায়ের চেয়ে কিছুটা খাটো হয়ে যায়। মেরুদণ্ডের হাড় ভাঙলে পিঠে বা কোমরে ব্যথা হয় এবং রোগী সামনে কিছুটা কুঁজো হয়ে যান। এ রোগে হাতের কব্জিও ভাঙতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ