শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম বা পিসিওএস হলো একধরনের জৈব রাসায়নিক সমস্যা। বিপাকক্রিয়াজনিত ত্রুটি ও হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মেয়েদের এটি হয়ে থাকে। পিসিওএসে মেয়েদের স্ত্রী হরমোনের মাত্রা কমার পাশাপাশি পুরুষ হরমোনের মাত্রা বাড়তে থাকে। থাইরয়েড, ইনসুলিন ও প্রোল্যাক্টিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতাও দেখা দিতে পারে। সাধারণত ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে এ সমস্যা হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি।  এ সমস্যার জন্য জিনগত কারণ, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ইনসুলিন বিরোধিতা, শরীরে উচ্চমাত্রার প্রদাহ, স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনেকাংশে দায়ী। এ সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হয় এবং অনেক সময় বিয়ের পর বাচ্চা জন্ম দিলে এমনিতেই সেরে যায় ৷ প্রতিরোধ : নিয়মিত ব্যায়ামের পাশাপাশি জীবনাচরণ ও খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় কোন খাবারগুলো থাকা প্রয়োজন, সেটা জেনে রাখাও জরুরি। শর্করা: জটিল বা অপরিশোধিত শর্করা গ্রহণ করবেন। এ ধরনের খাবারের মধ্যে লাল চাল, মিষ্টি আলু, ছোলা, কলমিশাক, মূলাশাক, ডাঁটাশাক, লাউ ও মিষ্টিকুমড়া শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, শজনে, পাকা আম, কাঁঠাল, আপেল, পেয়ারা, আমড়া, আমলকী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব খাবারে শর্করার পরিমাণ কম থাকে, তবে আঁশ বেশি পরিমাণ থাকে। আঁশ আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। এসব খাবার শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। আমিষ: উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ খাদ্য পিসিওএস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। প্রোটিন বিপাকক্রিয়াকে সচল রাখে, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন ধরনের ডাল, বাদাম, বিট, মাশরুম, অ্যাভোকাডো, ডিম, মুরগির বুকের মাংস, টার্কি, সামুদ্রিক মাছ, দুধ, টক দই, সয়া মিল্ক ইত্যাদি উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ