আযান দেয়ার সময় মুয়াজ্জিন কানে হাত দেওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, এতে কন্ঠস্বর আরো উচ্চ হয়।
মুয়াজ্জিন কর্তৃক প্রার্থনার উদ্দেশ্যে প্রতি দিন-রাতে নির্ধারিত সময়ে পাঁচ বার আযান দেওয়া হয়।
আযান শব্দের অর্থ হচ্ছে ডাকা, আহবান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় জামাআতের সহিত নামায আদায় করার লক্ষ্যে মানুষকে মসজিদে একত্রিত করার জন্য আরবি নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে উচ্চকণ্ঠে ডাক দেয়া বা ঘোষণা করাকেই আযান বলা হয়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াজ্জিন সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল (রাঃ)-কে তার দুই কানের ছিদ্রে তার দুই আঙ্গুল প্রবিষ্ট করার নির্দেশ দেন এবং বলেনঃ তাতে তোমার কন্ঠস্বর আরো উচ্চ হবে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, অধ্যায়ঃ ৩/ আযান ও তার সুন্নাত, হাদিস নম্বরঃ ৭১০, মিশকাতঃ ৬৫৩)।
দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সাহাবায়ে কেরামদের সময় থেকেই এটা প্রচলন ছিলো এজন্য মুসলিম সমাজের মানুষ তাদের সুন্নাতের অনুসরণ করার জন্য করে থাকে। কেননা আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলে গেছেন সাহাবাদের অনুসরণ করার মধ্যেই সঠিক পথ নিহিত রয়েছে।
আযানের সময়ে কানে আঙ্গুল প্রবেশ করা প্রসঙ্গে, মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) আবূ জুহায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন আমি বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে দেখেছি তিনি আযান দিচ্ছিলেন এবং (হাইয়্যা আলাস সালাহ/হাইয়্যা আলাল ফালাহ বলার সময়) ঘুরছিলেন আর তিনি এদিকে এবং ওদিকে তার মুখ ফিরাচ্ছিলেন। তার দুই আঙ্গুল ছিল তার কানে।
(সূনান তিরমিজী (ইফাঃ), অধ্যায়ঃ ২/ সালাত (নামায), হাদিস নম্বরঃ ১৯৭, ইবনু মাজাহঃ ৭১১)।
আলিমগণ এই হাদিস অনুসারে আমল গ্রহণ করেছেন। তারা বলেন আযানের সময় মুয়াজ্জিন কর্তৃক স্বীয় কর্ণদ্বয়ে আঙ্গুল প্রবেশ করা মুস্তাহাব। কোন কোন আলিম বলেন ইকামত দেওয়ার সময়ও কানে আঙ্গুল প্রবেশ করাতে হবে। এ হল ইমাম আওযাঈ (রহঃ) এর অভিমত।