লালনের সমাধি কোথায়?

লালনের সময় পাবদার ধানি পোনা আঁতুড় পুকুরে উত্পাদিত জলজ প্রাণীকণা খেয়ে বড় হয়। ৩৫ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ধানি চারা পোনায় রূপান্তরিত হয়। এই সময়ই মজুত পুকুরে স্থানান্তরিত করা হয়।

লালনের গান ও দর্শন যুগে যুগে প্রভাবিত করেছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর,কাজী নজরুল, অ্যালেন গিন্সবার্গের মতো বহু খ্যাতনামা কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক, বুদ্ধিজীবীসহ অসংখ্য মানুষকে।(তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)

সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে,লালন বলে জাতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে- এই গানটি হলো, লালনের আত্মতত্ত্ব বিষয়ক গান।

সবচেয়ে অবিকৃত তথ্যসূত্র অনুসারে লালনের ২২৭ টি গানের সন্ধান পাওয়া যায়।

লালনের কিছু গানে তিনি নিজেকে ফকির নামে আখ্যায়িত করেছেন।

লালনের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে ঔপন্যাসিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় যা বলেছেন-‘‘লালন ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু কোনো বিশেষ ধর্মের রীতিনীতি পালনে আগ্রহী ছিলেন না। সব ধর্মের বন্ধন ছিন্ন করে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন জীবনে।’’

লালনের পরিচয় দিতে গিয়ে সুধীর চক্রবর্তী যা লিখেছেন- ‘‘কাঙাল হরিনাথ তাঁকে জানতেন, মীর মশাররফ চিনতেন, ঠাকুরদের হাউসবোটে যাতায়াত ছিল, লেখক জলধর সেন বা অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় তাঁকে সামনাসামনি দেখেছেন কতবার,...

লালনের অনেক অনুসারী লালনের গানসমূহকে আধ্যাত্মিক মতবাদের কালাম বলে অভিহিত করে থাকে।

লালনের শিষ্যরা তাকে “সাঁই’’ বলে সম্বোধন করতেন।

বাংলা ১৩৪৮ সালের আষাঢ় মাসে প্রকাশিত মাসিক মোহম্মদী পত্রিকায় এক প্রবন্ধে লালনের জন্ম যশোর জেলার ফুলবাড়ি গ্রামে বলে উল্লেখ করা হয়। (তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া)