কাঁচামরিচের গুণগুন : কাঁচামরিচ ভিটামিন সি’র অত্যন্ত ভালো একটি উৎস। আরও রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন এ, লোহা, কপার, পটাশিয়াম, অল্প পরিমাণে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট। উপরন্তু কাঁচামরিচে রয়েছে পানি ও ক্যারোটিন-বি, ক্যারোটিন-এ, লিউটেইন-জিজান্থিনের মতো ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট। কোলেস্টেরল নেই একেবারেই। কাঁচামরিচের উপকারিতা: অত্যাবশ্যক ভিটামিন রয়েছে বলে কাঁচামরিচ রোজকার ডায়েটে রাখতে পারেন। চোখ - ভিটামিন এ থাকায় এটি সব বয়সী ব্যক্তির দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে ও চোখ ব্যথা দূর করে। ত্বক - কাঁচামরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে ফলে তা ত্বককে স্বাস্থ্যজ্জল রাখে। ইমিউন সিস্টেম- ইমিউন সিস্টেম অক্ষুণ্ন রাখতে প্রতিদিন কাঁচামরিচ খান। হজম - ভিটামিন সি এর ভালো উৎস, বিধায় কাঁচামরিচ খেলে বা সালাদে এর ব্যবহার হজমে সহায়তা করে। ফুসফুস - প্রতিদিন কাঁচামরিচ খেয়ে ঠাণ্ডা, কাশি এমনকি ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব। হাড় - কাঁচামরিচ টিস্যু পুনর্গঠন করে, নতুন রক্তকোষ তৈরি করে, হাড়কে সুস্থ ও শক্তিশালী করে। বয়স ধরে রাখে - যারা নিয়মিত কাঁচামরিচ খান তাদের ত্বক থাকে বলিরেখা মুক্ত। এটি বয়স ধরে রাখতে জাদুকরী একটি উপাদান। কোষ্ঠাকাঠিন্য- কাঁচামরিচ শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন অপসারণ করে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ হয়। ডায়েটারি ফাইবারের ভালো উৎস বলে এটি বৌল সিস্টেমের কাজ সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে। ওজন হ্রাস - কাঁচামরিচ বাড়তি মেদ ঝরায়। বিপাক ক্রিয়ার উন্নতি করে ওজন কমানোতে সাহায্য করে। মন ভালো রাখে - এটি মস্তিষ্কে এনডোরফিন হরমোন উদ্দীপক। ফলে মন ভালো রাখতে কাঁচামরিচ দারুণ ভালো! পাকস্থলীর ক্যানসার - আবশ্যক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তাই এটি পাকস্থলীর ক্যানসার ও পাকস্থলীর যেকোনো রোগ নিরাময় করে। লালাগ্রন্থিকে সক্রিয় রাখে- মরিচ খেলে লালা উৎপন্ন হয় যা খাবার ভালোভাবে চিবানোতে সাহায্য করে ও হজমে সাহায্য করে। তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ