শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলাম ধর্মে গোঁফ রাখার প্রতি নিরুৎসাহ করা হয়েছে। হজরত ওমর (রাঃ ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) আমাদের গোঁফ খাটো করতে এবং দাড়ি লম্বা করতে আদেশ দিয়েছেন। (তিরমিজি, হাদিসঃ ২৭৬৪)।

উপরোক্ত হাদিস দ্বারা বোঝা যায়, গোঁফ বড় করা মুসলিমদের আচার নয়। যেহেতু রাসুল (সাঃ) এমনটি করতে নিষেধ করেছেন। কোনো কোনো বর্ণনামতে রাসুল (সাঃ) গোঁফ রাখতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।

গোঁফ ছোট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে এগুলো মুখের ভিতর এসে না পড়ে। গোঁফ বেশী দীর্ঘ হলে নাকের এবং বাইরের ময়লা মিশে মুখের ভিতরে ঢোকে। পানি পান করার সময় এবং আহারের সময় গোঁফে আটকানো নাকের ও বাইরের রোগজীবানু ও ময়লাগুলো মুখের ভিতরে প্রবেশ করে নানাবিধ রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই ইসলামে গোঁফ লম্বা করে রাখা নিষিদ্ধ।

কেননা এটা স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতার বিরোধীও বটে। যথাসময়ে গোঁফ কাটা, গুপ্তস্থানের ক্ষৌরকার্য্য করা, বগলের চুল ছেঁড়া ও নখ কাটা উচিত। ৪০ রাত বা দিন যেন অতিক্রম না করে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেয়াও উচিত। কারণ রসূল এগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার নির্ধারণ করতে গিয়ে বলেছেনঃ ৪০ রাত বা দিন যেন অতিক্রান্ত না হয়।

(নাসাঈ, হাদিসঃ ১৪, মুসলিম, তিরমিযী, আবূ দাঊদ, ইবনু মাজাহ ও আহমাদ)।

কারণ এর বেশি সময় ধরে গোঁফ বড় করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। গোঁফের মাধ্যমে মানুষের শরীরে রোগ-জীবাণু ব্যাকটেরিয়া প্রবেশের বেশি আশঙ্কা থাকে। এতে লেগে থাকা ধুলো-বালি, ঘাম ইত্যাদি খাবারের সঙ্গে মিশে পাকস্থলীতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণুর সৃষ্টি করতে পারে। তাই কোনোভাবেই গোঁফ লম্বা করা উচিত নয়।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ