শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১) মূর্তি বা ভাস্কর্য যখন পূজার উদ্দেশ্যে হবে, তখন সেটি শির্ক হবে। ২) যখন সেটি তথাকথিত শিল্প-সংস্কৃতি বা সৌন্দর্যের (!) উদ্দেশ্যে হবে, তখন সেটি হারাম ও কবিরা গুনাহ হবে। ৩) ইসলামে অকাট্যভাবে হারাম, এমন কিছুকে হালাল মনে করলে কাফির হয়ে যাবে। একইভাবে, ইসলামে যা হালাল, সেটিকে হারাম মনে করলে ক|ফির হয়ে যাবে। যেমন: মদ পান করা হারাম। কেউ যদি মদকে হারাম মনে করে, কিন্তু সারাক্ষণ মদের মাঝে ডুবে থাকে, তবুও সে ক|ফির হবে না; কবিরা গুনাহগার হবে। এই গুনাহ থেকে মাফ পেতে তাকে তাওবাহ্ করতে হবে। কিন্তু সে যদি মদকে হালাল মনে করে, তবে সে ক|ফির হয়ে যাবে। চাই সে মদ পান করুক বা না করুক। শুধু হালাল মনে করাটাই তার ইমান ধ্বংসের কারণ। ৪) কোনো অমুসলিমের উপাসনালয়ে গিয়ে মূর্তি ভাঙা যাবে না। কিন্তু পূজনীয় নয়, এমন কোনো প্রকাশ্য ভাস্কর্য বা মূর্তি কেউ ভেঙে ফেললে তাকে পাকড়াও করা যাবে না। যদিও এই কাজটি সরকারের দায়িত্ব। সাধারণভাবে, অন্যরা এই কাজ করবে না। ৫) বর্তমানে ভাস্কর্য ইস্যুটি মানুষদের ইমান ও কুফরের অবস্থা উন্মোচন করে দিচ্ছে। দুটি শিবিরে মানুষ ভাগ হয়ে যাচ্ছে। তাই, সাবধান মুসলমান! যে দলই করো না কেন, নিজের ইমানকে নিরাপদ রাখো। অন্তত হারামকে হারাম মনে করো; হারামকে হালাল মনে করে কুফরি করো না। ৬) আলিমগণ বারবার স্পষ্টভাবে বলে যাচ্ছেন, ভাস্কর্য বা মূর্তি যারই হোক, সেটির বিরোধিতা করা হচ্ছে। হোক সেটি শেখ মুজিবের, জিয়ার বা অন্য কারও। এমনকি খোদ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাস্কর্যও মেনে নেওয়া হবে না। অতএব, ভাস্কর্য তথা মূর্তিবিরোধী চলমান আন্দোলনকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ৭) যদি মক্কা-মদিনাও ভাস্কর্যে ছেয়ে যায়, তবুও এটি হারামই থাকবে। আমরা কোনো মুসলিম দেশকে স্ট্যান্ডার্ড মনে করি না। মুসলমানদের একমাত্র মানদণ্ড হলো কুরআন এবং সুন্নাহ। এর বাইরে কোনো কিছু অনুসরণীয় নয়। ৮) অনেকে ভাস্কর্য এবং মূর্তিকে আলাদা করে দেখেন। বস্তুত দুটোই এক। আজ যেটা ভাস্কর্য, কাল সেটাই মূর্তি হয়ে যাবে, যদি এর পূজা শুরু হয়। কেউ কি শেখ মুজিবের একটি মূর্তি আর একটি ভাস্কর্য বানিয়ে পাশাপাশি রাখতে পারবে? এই দুটোর মাঝে কোনো পার্থক্য থাকবে? যে মূর্তি বানায় এবং যে ভাস্কর্য বানায়, এদের উভয়কেই ‘ভাস্কর’ বলা হয়। অতএব, দুটোই এক। পার্থক্য হলো, কোনোটার পূজা করা হয় আর কোনোটার হয় না। আরেকটি বিষয় জেনে রাখুন, পূর্ববর্তী যামানায় অনেক অতি উৎসাহী ব্যক্তি স্রেফ ভালোবাসা এবং সম্মানের উদ্দেশ্যে প্রতিকৃতি নির্মাণ করতো। কিন্তু কিছুদিন যেতে-না-যেতেই সেগুলোর পূজা শুরু করে দিতো। ভাস্কর্য শির্কের সিম্বল। এটিকে প্রকাশ্যে থাকতে দেওয়া যাবে না। ৯) ভাস্কর্য বা যেকোনো ইস্যুতে আলিমগণকে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। ফাতাওয়ার কিতাবগুলোতে স্পষ্ট লেখা আছে, কোনো আলিমকে শুধু আলিম হওয়ার কারণে গালি দিলে ব্যক্তির ইমান চলে যাবে। কারণ ইসলামি শরিয়তের ইলমকে ঘৃণা করা খোদ ইসলামকে ঘৃণা করার সমান। হ্যাঁ, অন্য কোনো কারণে আলিমের সাথে গালাগালি, সংঘর্ষ হলেও তার ইমান ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ আলিমগণ মানুষ। তাদের সাথে চারিত্রিক ত্রুটি, পারস্পরিক মনোমালিন্য বা অন্য কারণে ঝগড়া হতে পারে। সেটাতে কারও ইমান যাবে না। বরং শরিয়তের দৃষ্টিতে দুজনের জন্য একই বিধান প্রযোজ্য হবে। কিন্তু, কোনো আলেমকে কেবল আলেম হওয়ার কারণে ঘৃণা করা যাবে না বা তাকে গালি দেওয়া যাবে না। তাহলে সেটা কুফর হবে। ১০) আল্লাহর কাছে প্রত্যেকেই দু‘আ করুন, যাতে ইমান নিয়ে সবাই মরতে পারি। দিন দিন ফিতনা ব্যাপক আকার ধারণ করছে। কুফর ও শির্ক রঙ বদলিয়ে ভিন্ন রূপে দৃশ্যমান হচ্ছে। দ্বিনের বেসিক জ্ঞানটুকু অর্জন করুন, যাতে ইমানটা ধরে রাখতে পারেন। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে হিদায়াত নসিব করুন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ