শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

বাজেট:

প্রিন্টার কেনার আগে প্রথমেই দেখতে হবে আপনি কোন কাজের জন্য প্রিন্টার কিনবেন। কেননা আপনি যদি ছোট খাটো কাজের জন্য বিশাল বাজেটের প্রিন্টার কিনেন, তবে এটা অপচয় ছাড়া কিছু নয়। তাই সবার আগে নির্ধারণ করুন আপনি কোন কাজের জন্য প্রিন্টার ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন ভেদে প্রিন্টার সাধারণত ৩ ধরণের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

  • ঘরোয়া কাজের জন্য: ব্যক্তিগত কাজ এর জন্য যেমন কাগজ প্রিন্ট, পড়া লেখার ক্ষেত্রে হোম ওয়ার্ক, নোট, শিট কিংবা অ্যাসাইনমেন্ট প্রিন্ট করা। এসব ক্ষেত্রে প্রিন্টিং স্পিড, মাল্টি ফাংশনাল কিংবা হাই কনফিগারের প্রিন্টার প্রয়োজন হয় না। আর সাধারণত তুলনামূলক সস্তা বাজেটের মধ্যে ঘরোয়া কাজের জন্য প্রিন্টার পাওয়া যায়।
  • ব্যবসায়িক কাজের জন্য: অফিস, আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রিন্টার নির্বাচনের ক্ষেত্রে অনেকগুলো বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। প্রথমত এসব কাজে দীর্ঘক্ষণ প্রিন্টার চালু রাখা এবং অধিক সংখ্যক প্রিন্ট করতে হয়। অনেক সময় ফটোকপি বা স্ক্যান করারও প্রয়োজন হয়। যেহেতু বহুমুখী কাজ করার প্রয়োজন হয়, তাই প্রিন্টার কেনার ক্ষেত্রেও বহুমুখী চিন্তা করতে হয়।
  • প্রফেশনাল কাজের জন্য: প্রফেশনাল বলতে যারা মূলত প্রিন্টিং, গ্রাফিক্স, ফটোগ্রাফি রিলেটেড কিংবা হাই রেজুলেশনের ডিজাইন প্রিন্ট করার কাজ করে। এসব ক্ষেত্রে প্রিন্টার কিনার জন্য বাজেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

ইমেজ কোয়ালিটি

  • রেজুলেশন ফটোগ্রাফি কিংবা নিখুঁত প্রিন্টের জন্য কমপক্ষে ১২০০ ডিপিআই (ডট পার ইঞ্চ) প্রয়োজন। প্রায় সকল প্রিন্টারের আলাদা আলাদা রেজুলেশন রয়েছে। ডিপিআই যত বেশী হবে প্রিন্ট তত নিখুঁত হবে। তাই ইমেজ কোয়ালিটি ভাল পেতে হলে রেজুলেশন বেশী থাকতে হবে।
  • ইঙ্ক ড্রপলেট সাইজ বাজারে থাকা প্রিন্টার গুলো সাধারণত 4 – 12 pl এর হয়ে থাকে। ড্রপলেট যত কম হবে প্রিন্ট তত শার্প হবে।
  • ইঙ্ক কনফিগারেশন প্রিন্টার সাধারণত ৪, ৬, ৮ আর ১২ কালারের হয়ে থাকে। তাই ভাল ইমেজ কোয়ালিটি পেতে কালার কনফিগারেশন দেখতে হবে।

সাইজ

  • আপনি যদি ছোট সাইজে(A4, letter, legal)সাইজের পেজ প্রিন্ট করতে চান তবে ছোট/মাঝারি সাইজের প্রিন্টার ক্রয় করতে পারেন। আর আপনার যদি বড় সাইজের পেজ প্রিন্ট করতে চান তবে আপনাকে বড় সাইজের প্রিন্টার ক্রয় করতে হবে।

স্পিড

  • প্রিন্টারের গতি নির্ধারণ করা হয় PPM দিয়ে। PPM অর্থ পেজ পার মিনিট। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে কতটি পেজ প্রিন্ট করতে পারে। সাধারণত বাজারে 5-25PPM পর্যন্ত প্রিন্টার পাওয়া যায়। আপনার দরকার অনুপাতে স্পীড এর প্রিন্টার বেছে নিবেন।

পেপার হ্যান্ডলিং

  • একটি প্রিন্টার একসাথে কতগুলো পেজ ধারণ করতে পারে সেটা হলো পেপার হ্যান্ডলিং নম্বর । প্রিন্টারের প্রিন্টারের ট্রেতে সাধারণত ১০০ থাকলেই ঘরোয়া কাজের জন্য উপযোগী। তবে অফিসিয়াল কাজের জন্য বেশী পেজ ধারণ করতে পারে এমন প্রিন্টার ক্রয় করতে পারেন ।

কানেক্টিভটি

  • বর্তমান সময় প্রিন্টার কানেক্টিভটি বেশ জরুরি। ওয়্যারলেস, ইথারনেট কিংবা ইউএসবি বিভিন্ন রকমের প্রিন্টার পাওয়া যায়। মোবাইলের মাধ্যমে কিংবা অফিশিয়াল কাজের ক্ষেত্রে প্রিন্টারের মধ্যে ওয়াইফাই কানেকশন থাকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

উপরে উল্লেখিত বিষয় সূমহ মাথায় রাখলে আপনি খুব ভাল মানের একটি প্রিন্টার কিনতে পারবেন। আর প্রিন্টার নিয়ে যদি আর কোন প্রশ্ন থেকে থাকে তবে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ