শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পৃথিবীর গভিরে কি আছে আসুন পর্যায়ক্রমে জেনে নেই:

ভূপৃষ্ঠ থেকে অর্থাৎ যেখানে আমরা বসবাস করি এটাই পৃথিবীর সবথেকে উপরের অংশ। পৃথিবী পৃষ্ঠ দেশটির বিভিন্ন শিলা ও পাথর দিয়ে তৈরি। 


এটা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ স্তর গুলোর তুলনায় পাতলা হলেও একেবারে কঠিন স্তর পৃথিবীর উপরিভাগের এই সব থেকে পাতলা স্তরটি প্রধানত দু'ভাগে বিভক্ত প্রথম হলো অসানিক কাস্ট  অর্থাৎ মহাসাগরীয় ভূত্বক এবং দ্বিতীয় কন্টিনেন্টাল কাস্ট অর্থাৎ মহাদেশীয় ভূত্বক| আমরা যদি সমগ্র পৃথিবীর ব্যাসার্ধের কথা বলি তবে সমুদ্রের অত্যন্ত গভীর জায়গাও আসলে খুব একটা গভীর নয়। কেননা প্রচণ্ড গভীর সমুদ্র পৃথিবীর উপরিভাগে শেষ হয়ে যায় পৃথিবীর আসল গভীরতা পৃথিবীর ভূত্বক অর্থাৎ  পৃথিবীর বহির্ভাগ এর পর থেকে শুরু হয়।

 

এই প্রথম মহাসাগর মহাদেশ নিয়ে প্রায় 100 কিলোমিটার গভীরতা পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই ভূত্বকের উষ্ণতা অভ্যন্তরীণ ভাবে প্রায় 500 থেকে 1000 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়। চলুন এরপর আরও খানিকটা গভীরে যাওয়া যাক এরপর আমরা পৌঁছাব দ্বিতীয় স্তরে এই স্তর টির নাম ম্যানটেল গুরুমন্ডল।      এই স্তরটি 2900 কিলোমিটার গভীর আর এখানকার উষ্ণতা প্রায় 4000 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়।


এই স্তরটি ট্রানজেকশন জোন এর মাধ্যমে দুটি ভাগে বিভক্ত আপার মেনটেল ও লোয়ার মেনটেল। আপার ম্যানটেল ও ভূমিষ্ট একসাথে একটি দীর্ঘ অঞ্চল গঠন করে এই অংশে ফাটল দিয়ে মেগমা ভূপৃষ্ঠে পৌঁছায় এবং আগ্নেওগিরির মাধ্যমে নির্গত হয়। চলুন বন্ধুরা আরো গভীরে যাওয়া যাক এবার আমরা এসে পৌছালাম পৃথিবীর সবথেকে অভ্যন্তরীণ ভাগে অর্থাৎ কোর বা কেন্দ্রে পৃথিবীর এই কেন্দ্র দুটি ভাগে বিভক্ত এর উপরিভাগকে বলা আউটার কোর এবং নিচের অংশটি কে বলা হয় ইনার কোর।


প্রথমে আউটার কোর কথা আলোচনা করা যাক এটা প্রায় 2400 কিলোমিটার পুরো পৃথিবীর ইনার কোর ও ম্যানটেল এর মাঝে অবস্থিত। এই স্তরটি লোহা ও নিকেল দিয়ে গঠিত একটি তরল স্তর।এখন আপনাদের মনে হতেই পারে যে লোহা দিয়ে তৈরি একটি স্তর কীভাবে তরল হতে পারে তাই না।  জানিয়ে রাখি বন্ধুরা এই আউটার কোরের উষ্ণতা প্রায় 4500 ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় আর লোহা 1500 ডিগ্রি সেলসিয়াসে গোলে তরল হয়ে যাই। তাই এই অংশটি তরল লোহা দিয়ে তৈরি আরো জানিয়েছে বন্ধুরা এই আউটার করে জন্যই পৃথিবীতে চৌম্বকীয় তরঙ্গ ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে । যার ফলে আমরা সহজেই কম্পাস ব্যবহার করতে পারি এখান থেকে আরো গভীরে গেলে আমরা পৌঁছে যাব পৃথিবীর কেন্দ্রে অর্থাৎ ইনার কোরে  এটা প্রায় 1200 কিলোমিটার ব্যাসার্ধ যুক্ত একটি কঠিন অংশ যা পৃথিবীর ব্যাসার্ধের প্রায় 20% ও চাঁদের ব্যাসার্ধের প্রায় 70 শতাংশ এটা পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে প্রায় 6371 কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত। 


এটা কঠিন লোহা নিকেল দিয়ে গঠিত পৃথিবীর ইনার কোরের উষ্ণতা প্রায় 6000 ডিগ্রী সেলসিয়াস সূর্যের পৃষ্ঠের উচ্চতা প্রায় একই রকম হয়। বন্ধুরা আপনাদের মনে হতেই পারে যে এত অধিক হওয়া সত্বেও এই স্তরটি কিভাবে কঠিন অবস্থায় থাকে তাই না তাহলে জেনে রাখুন বন্ধুরা এই স্তরে পৃথিবীর অন্যান্য স্তরে সৃষ্ট চাপ এসে পড়ে  এবং এই বিশাল চাপের কারণে এই স্তরের লোহা ও নিকেলের গলনাঙ্ক অদ্ভুতভাবে প্রচন্ড হারে বৃদ্ধি পায় ফলে এই অংশটি কঠিন অবস্থায় থাকে।  


এখন প্রশ্ন হলো পৃথিবীর এত গভীরে কেউ তো যাইনি তাহলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে এত গভীরতা পর্যন্ত। এত কিছু আছে আর এই অবস্থায় আছে আমরা কিভাবে জানলাম পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জানার জন্য আমরা সিসমিক ওয়েব ব্যবহার করি এই ওয়েবের সময় ও শক্তি আমাদের পৃথিবীর অভ্যন্তরের খবর দেয় এটি একটি এনার্জি ওয়েব এবং পাথরের

ঘনত্ব বদলানোর সাথে সাথে এটা ক্রোমো বিভক্ত হয় এবং নিজের গতিবেগ বদলায় এছাড়াও  পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ অবস্থা জানার জন্য আরো একটি প্রক্রিয়া আছে এবং সেটা হল দীপ রক স্টাডি অর্থাৎ পৃথিবীর অভ্যন্তরে যে সমস্ত পাথর থাকে সেগুলো বিভিন্ন আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে ভূপৃষ্ঠে চলে আসে এবং এই পাথরগুলো নিরীক্ষণ করে আমরা পৃথিবীর অভ্যন্তরভাগ সম্পর্কে জানতে পারি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ