একজন ব্যক্তি কিভাবে বুঝবে সে সমকামী বা উভকামী? যখন জানবার তখনই জানা যাবে। এটা জানতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, এবং এর জন্যে তাড়াহুড়ো করার কিছু নেই। মূল আকর্ষণটি প্রাপ্তবয়ষ্কদের যৌন প্রবৃত্তির ভিত্তি হিসেবে কাজ করে এবং সেটা সাধারণতঃ শিশুকালের মধ্যবর্তি সময় থেকে শুরু করে কৈশোরের শুরুর দিক থেকেই অনুভূত হয়। এখানে বলা যায় যে, ভিন্ন ভিন্ন সমকামী বা উভকামীদের ক্ষেত্রে তাদের যৌন প্রবৃত্তির বিষয়ে বেশ ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। কোন কোন মানুষ কারো সাথে প্রকৃত সম্পর্ক স্থাপনের অনেক আগে থেকেই বুঝতে পারেন যে তারা সমকামী এবং উভকামী। কেউ কেউ তাদের যৌন প্রবৃত্তি জানবার বা বুঝবার আগেই অন্যদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আবার কোন কোন মানুষ নিজেদের যৌন প্রবৃত্তি সম্পর্কে প্রকৃতপক্ষে সুনির্দিষ্টভাবে না জেনেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। এখানে একটা কথা বলতে হয় যে, সংস্কার ও বৈষম্যের ফলে অনেকের পক্ষেই নিজেদের যৌন প্রবৃত্তি ও পরিচিতি তুলে ধরা বা প্রকাশ করা কষ্টকর হয়ে পড়ে। তারা বলতে পারেনা যে, তারা সমকামী বা উভকামী। ফলে তাদের প্রকৃত পরিচিতি প্রকাশিত হবার বিষয়টি বিলম্বিত বা সময় সাপেক্ষ হয়ে পড়ে।
ইসলামের দৃষ্টিতে সমকামী মারাত্মক অপরাধ | কারন আল্লাহ পাক নারী ও পুরুষকে সৃষ্টি করেছেন একে অপরের পরিপুরক হিসাবে, বিনোদনের জন্য, কামনা নিবারন করার জন্য | তাই সেই পন্থা বাদ দিয়ে অন্য উপায় বের করা কবিরা গুনাহ | তাই আপনি সেটা থেকে দুরে থাকেন | আর এটা হরমোন ফাংশনের গোলমালের কারনে হচ্ছে | তাই আপনি একজন ভাল যৌন ডাঃ এর সাথে যোগাযোগ করুন |
লূত (আঃ)-এর কওম আল্লাহর ইবাদত ছেড়ে শিরক ও কুফরীতে লিপ্ত হয়েছিল। দুনিয়াবী উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে তারা সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতির মধ্যে পরিদৃষ্ট হয়নি। জন্তু-জানোয়ারের চেয়ে নিকৃষ্ট ও হঠকারী এই কওমের হেদায়াতের জন্য আল্লাহ লূত (আঃ)-কে প্রেরণ করলেন। কুরআনে লূতকে ‘তাদের ভাই’ (শো‘আরা ২৬/১৬১) বলা হ’লেও তিনি ছিলেন সেখানে মুহাজির। নবী ও উম্মতের সম্পর্কের কারণে তাঁকে ‘তাদের ভাই’ বলা হয়েছে। তিনি এসে পূর্বেকার নবীগণের ন্যায় প্রথমে তাদেরকে তাওহীদের দাওয়াত দিয়ে বললেন,
إِنِّيْ لَكُمْ رَسُوْلٌ أَمِيْنٌ، فَاتَّقُوا اللَّهَ وَأَطِيْعُوْنِ، وَمَا أَسْأَلُكُمْ عَلَيْهِ مِنْ أَجْرٍ إِنْ أَجْرِيَ إِلاَّ عَلَى رَبِّ الْعَالَمِيْنَ، (الشعراء ১৬২-১৬৪)-
আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত রাসূল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। আমি এর জন্য তোমাদের নিকটে কোনরূপ প্রতিদান চাই না। আমার প্রতিদান তো বিশ্বপ্রভু আল্লাহ দিবেন’ (শো‘আরা ২৬/১৬২-১৬৫)। অতঃপর তিনি তাদের বদভ্যাসের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, أَتَأْتُوْنَ الذُّكْرَانَ مِنَ الْعَالَمِيْنَ- ‘বিশ্ববাসীর মধ্যে কেন তোমরাই কেবল পুরুষদের নিকটে (কুকর্মের উদ্দেশ্যে- আ‘রাফ ৭/৮১) এসে থাক’? ‘আর তোমাদের স্ত্রীগণকে বর্জন কর, যাদেরকে তোমাদের জন্য তোমাদের পালনকর্তা সৃষ্টি করেছেন? নিঃসন্দেহে তোমরা সীমা লঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়’ (শো‘আরা ২৬/১৬৫-১৬৬)। জবাবে কওমের নেতারা বলল,