কবিতা খুব মনোযোগ দিয়ে স্নায়ুতন্ত্রের গঠন এর একক আসছিল। এমন সময় পেছন থেকে তার বোন কান্তা পিঠে খোঁচা দিল। কবিতা পিছনে না তাকিয়ে তৎক্ষনাত তার হাত ধরে ফেলল। কবিতা তখন তাকে বলল যে, তার হাত ধরতে পারার সাথে তার অংকনের বিষয় রয়েছে।

প্রশ্ন 

(ক) মানবদেহের প্রধান রেচন অঙ্গ কোনটি?

(খ) ট্রফিক চলন বলতে কী বোঝায়?

(গ) কবিতা যা আকঁছিলো তার গঠন বর্ণনা করো।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
nahid219

Call

ক. মানবদেহে প্রধান রেচন অঙ্গ বৃক্ক । 

খ. ট্রপিক চলন বলতে বুঝায়ঃ 

অভ্যন্তরীণ বা বহিঃউদ্দীপক উদ্ভিদদেহে যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তার ফলে উদ্ভিদে চলন বা বৃদ্ধি সংঘটিত হয়। এসব চলনকে ট্রপিক চলন বলে। বহিঃউদ্দীপক আলো, মাটি, পানি ও রাসায়নিক পদার্থের প্রভাবে উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গের চলন ঘটে।যেমন- আলোর প্রভাবে কান্ডের আলোর দিকে চলন ঘটে। ট্রপিক চলন তিন ধরনের। যথাঃ ফটোট্রপিক চলন, হাইড্রোট্রপিক চলন এবং জিওট্রপিক চলন।

গ. 
স্নায়ুতন্ত্রঃ নিউরোন বা স্নায়ুকোষ দিয়ে গঠিত যে তন্ত্রের সাহায্যে প্রাণিদেহে উদ্দীপনা গ্রহণ, উদ্দীপনায় সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন হয়, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে । 

স্নায়ুতন্ত্রের গঠন নিম্নরূপ ঃ

স্নায়ুতন্ত্র একটি সিঙ্গেল ইউনিফাইড কমুনিকেশন সিস্টেম হলেও অঙ্গ সংস্থানিক ভাবে একে সামগ্রিক ভাবে দু ভাগে ভাগ করা যায় ঃ যথা কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্র । 

কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয় মস্তিষ্ক ও সুসুম্মা রজ্জু নিয়ে । প্রান্তীয় বা পেরিফেরাল স্নায়ুতন্ত্র গঠিত হয় মস্তিষ্কের  সাথে সংশ্লিষ্ট করোটিক স্নায়ু , স্পাইনাল কর্ডের সাথে সংশ্লিষ্ট সুসুম্মা স্নায়ু ও স্পাইরাল স্নায়ু এবং গ্যাংগ্লিয়া নামক স্নায়ু কোষ বডি গুচ্ছ । স্নায়ু কোষের গাঠনিক একক দুই ধরণের যথা ঃ নিউরণ ও নিউরোগ্লিয়াল কোষ বা গ্লিয়া । 

 নিউরন
নিউরন স্নায়ুতন্ত্র গঠনকারি একক। মানুষের মস্তিষ্কে ১০০ বিলিয়ন নিউরন থাকে। মানুষের সুষুম্নাকান্ডে ১৩.৫ মিলিয়ন নিউরন থাকে। নিউরনের তিনটি অংশ আছে। যেমন- কোষদেহ , অ্যাক্সন এবং ডেনন্ড্রন।

কোষদেহ
কোষদেহে নিউরনের প্রধান অংশ।কোষদেহ বিভিন্ন আকৃতির হয়।যেমন- গোলাকার,ডিম্বাকার বা নক্ষত্রাকার।কোষদেহ কোষ-আবরণী,সাইটোপ্লাজম ও নিউক্লিয়াস দ্বারা গঠিত।এই কোষে সেন্ট্রিওল থাকে না।তাই এরা অন্যান্য কোষের মত বিভাজিত হয়না।

অ্যাক্সন
কোষদেহ থেকে সৃষ্ট লম্বা সুতার মত অংশকে অ্যাক্সন বলে। অ্যাক্সনের যে প্রান্তে কোষদেহ থাকে তার বিপরীত প্রান্ত থেকে শাখা বের হয়। সাধারনত একটি নিউরনে একটি মাত্র অ্যাক্সন থাকে।

ডেনন্ড্রন
কোষদেহের চারদিক থেকে সৃষ্ট শাখাগুলোকে ডেনড্রন বলে। এগুলো বেশি লম্বা হয়না। ডেনড্রন থেকে সৃষ্ট শাখাগুলোকে ডেনড্রাইট বলে। এদের দ্বারা স্নায়ুতাড়না নিউরনের দেহের দিকে পরিবাহিত হয়।

গ্লিয়াল কোষ
গ্লিয়া (অথবা Glia) কোষ শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ "Glue" থেকে। এগুলি কাঠামো দান করতে এবং নিউরন কে সাহায্য করতে বিশেষভাবে তৈরি।স্নায়ুতন্ত্রের গঠনে নিউরনের পাশাপাশি গ্লিয়াল কোষ অবস্থান করে। গ্লিয়াল কোষ নিউরন নয়। এগুলো নিউরনের পাশাপাশি অবস্থান করে ইনসুলেটর(বিদ্যুত অপরিবাহি অন্তরক) হিসেবে কাজ করে।নিউরনগুলোকে একসাথে আঠারো মত লাগিয়ে রাখে।বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস এবং বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থেকে রক্ষা করে। গ্লিয়াল কোষ স্নায়ুতন্তু তৈরি করেও সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ