বিসিএস একটি কঠিন বিষয়। এটি আরও কঠিন হয়েছে বিশাল প্রতিযোগিতার কারনে। ২০০০ এর বিপরীতে পরীক্ষায় বসে ৪ লাখের মত। এদের মধ্যে কেউ অনেক আগে থেকেই প্রিপারেশন নিয়েছে, কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর। তাদের সকলের সাথে আপনার আমার মত সংকটের ভেতর থেকে পড়াশুনা করে প্রতিযোগীতা করা কঠিন অবশ্যই। কিন্তু ন্যাশনাল থেকে সম্ভব না এটি ভূল। আসলে ন্যাশনালে পড়ুয়ারা নিজেরাই মনে করে তাদের মাথা কম। তাই তারা যাই একটা হলেই হবে মনভাবে দিন কাটায়। জীবনের লক্ষ ঠিক করেনা, সে হিসাবে পরিশ্রম করেনা।এখানে বহু ছাত্র সারা বছর সকাল থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত টিউশন করে ইনকামের ধান্দায় থাকে।নিজে সপ্তাহে এক দিনও পড়েনা। তাই তারাপারেনা। আমি টিউশনকে নিশেধ করছিনা কিন্তু প্রয়োজন পর্যন্ত লিমিট করার কথা বলছি। বিকেল ও সন্ধায় দুটো হলেই খরচ চলে যাবে। সকালে ক্লাসে বা লাইব্রেরীতে সময় দিন। রাতে নিজের পড়া পড়ুন। টার্গেট ঠিক করুন। বিসিএস অবশ্যই পাবেন। মনে রাখতে হবে যারা পাচ্ছে তারাও আপনার মতই দিন রাত বই পড়েছে। কোন মন্ত্র পাঠ করেনি।
আর একটি কথা মনে রাখবেন, বিসিএসে টেকার জন্য পড়া আর পরীক্ষা দিলে পাশ হবেনা। পড়তে হবে প্রথম হওয়ার টার্গেটে। আর এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। অংক ও ইংলিশ এ দুটোই মেইন ফ্যাক্ট। এতে সময় দিন। অংক পারি বলে রাখলে চলবেনা। কারন বাসায় অংক দেখে বুঝে ধাপে ধাপে সুত্র ধরে করলে অধিকাংশ মানুষ পারে। কিন্তু এক্সাম হলে গড়ে ৩৮-৪০ সেকেন্ড সময় পাবেন একটি প্রশ্নে। সেখানে রাফ করে ধাপে ধাপে বের করতে গেলে আর অন্য উত্তর দিতে পারবেন না। তাই অংক এমন ভাবে বার বার করতে হবে যে, প্রায় মুখস্থ। দেখলেই ধারনা পাবেন যে উত্তর এত হতে পারে। এভাবেই করতে হবে। তাহলে পারবেন। আর পারিবারিক যে সংকটের কথা বলছেন তা প্রায় সবার আছে। তাই এ বিষয়ে তেমন বলছিনা। শুধু বলব বাইরের সময় বন্ধ করে বইয়ের উপর পড়ার সময় দিন। সাফল্য গড়ে নিতে হবে। গড়া পাওয়া যাবেনা।