ভূআলোড়নের ফলে উপকূল অঞ্চল উথিত হলে, তাকে কী বলে?

ভূআন্দোলনের ফলে সমুদ্রবক্ষ বিস্তৃত হলে মহাদেশীয় হিমবাহ-এর গলনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার পরিবর্তন ঘটে ইউস্টাটিক পুনযৌবন লাভ ঘটে।

নদীর পুনযৌবন লাভের ফলে নদীর দৈর্ঘ্য বরাবর যে বিন্দুতে উর্ধ্ব উপত্যকার পুরোনো মৃদু ঢালের সঙ্গে নিম্ন উপত্যকার নতুন খাড়াঢ়াল মিলিত হয়, তাকে নিক পয়েন্ট বলে।

আবহবিকারের ফলে স্ত্রী ও ট্যালাস দ্বারা পর্বতের পাদদেশ আবৃত থাকলে, তাকে- ব্লকম্পেড (Felsenmer) বলে।

হিমবাহের গলনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান ঘটে, তখন উপকূল অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে সমুদ্রের অংশ হয়ে যায়, একে নিমজ্জিত উপকূলরেখা বলে।

উপকূলের সমান্তরালে বিস্তৃত শৈলশিরাবিশিষ্ট পার্বত্যভূমি ভূআন্দোলনের ফলে আংশিক নিমজ্জিত হলে যে উপকূলের সৃষ্টি হয়, তাকে ডালমেশিয়ান উপকূল বলে।

সমুদ্রতরঙ্গ অগভীর উপকূল পেরিয়ে সৈকতে আছড়ে পড়লে, তাকে সম্মুখতরঙ্গ বা সোয়াশ বলে।

পুনর্যৌবন লাভের ফলে নদীখাতটি আরো সংকীর্ণ ও গভীর হলে তাকে কর্তিত নদীবাক বলা হয়।

বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন পূর্ব উপকূলের দক্ষিণাংশ, বিশেষত কৃষ্ণা নদীর দক্ষিণে কন্যাকুমারী পর্যন্ত উপকূলকে করমণ্ডল বলে।

উত্তরে সুবর্ণরেখা নদীর মোহনা থেকে শুরু করে দক্ষিণে কৃষ্ণা নদীর ব-দ্বীপ পর্যন্ত পূর্ব উপকূলকে উত্তর সরকারস উপকূল বলে।

মহারাষ্ট্রের উত্তর সীমা থেকে গোয়া পর্যন্ত আরবসাগর পর্যন্ত আরবসাগর সংলগ্ন পশ্চিম উপকূলকে কোঙ্কণ উপকূল বলে।