শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মলদ্বারের ব্যথায় অনেকে ভুগে থাকেন। ফিশার মানে মলদ্বারে ঘা বা ফেটে যাওয়া। তীব্র (একিউট) ফিশার হলে রোগীর মলদ্বারে ব্যথা হয়। দীর্ঘস্থায়ী (ক্রনিক) ফিশারে ব্যথার তারতম্য হয়। এটি যে কোনো বয়সে হতে পারে।

কারণ এবং কীভাবে ঘটে
কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা মলত্যাগের সময় চাপ দেয়ার কারণে এনাল ফিশার হয়। শক্ত মল বের হওয়ার সময় মলদ্বার ফেটে যায় বলে মনে করা হয়। যারা আঁশযুক্ত খাবার খান তাদের এ সমস্যাটি কম হয় বলে মনে করা হয়। আঁশযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে শাকসবজি, কাঁচা ফলমূল, আলুর ছোলা, ইসবগুলের ভুসি ইত্যাদি। ঘনঘন মলত্যাগ বা ডায়রিয়া হলে ফিশার হওয়ার আশংকা বেড়ে যায়।

উপসর্গ
মলদ্বারে ফিশারের প্রধান লক্ষণ হল- ব্যথা ও রক্তক্ষরণ। এ ধরনের ব্যথা সাধারণত মলত্যাগের অব্যবহিত পরে হয় এবং কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা ধরে ব্যথা চলতে পারে। ‘প্রকটালজিয়া ফুগাক্স’ নামক এক ধরনের রোগেও মলদ্বারে ব্যথা হয়, কিন্তু সে ব্যথা মল ত্যাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকে না। রক্ত জমাট বাঁধা পাইলসেও ব্যথা হয়, কিন্তু তখন রোগী মলদ্বারে চাকা আছে বলে অভিযোগ করেন। ফিশারের রোগীরা অনেক সময় প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগেন।

রক্ষণশীল চিকিৎসা
একিউট ফিশার শুরুর অল্প দিনের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু হলে বিনা অপারেশনে ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মল নরম করার, মলের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আঁশযুক্ত খাবার বেশি খাওয়া উচিত এবং ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। সিজ বাথ নিলে উপকার হয়। এটির নিয়ম হচ্ছে আধ গামলা লবণ মিশ্রিত হালকা গরম পানির মধ্যে নিতম্ব ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হয়। স্থানিক অবশকারী মলম ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়। এতে যদি পুরোপুরি না সারে এবং রোগটি যদি বেশি দিন চলতে থাকে তাহলে অপারেশন ছাড়া ভালো হওয়ার সম্ভাবনা কমতে থাকে।

সার্জিক্যাল চিকিৎসা 
মলদ্বারের মাংসপেশির সম্প্রসারণ করা (এনাল ডাইলেটেশন)-এ পদ্ধতিটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য বেশিরভাগ সার্জন এটির বিপক্ষে। এ পদ্ধতির জন্য কোনো কোনো রোগীর মল আটকে রাখার ক্ষমতা ব্যহত হতে পারে।

মলদ্বারের স্ফিংটারে অপারেশন
এ অপারেশনে মলদ্বারের অভ্যন্তরীণ স্ফিংটার মাংশপেশিতে একটি সূক্ষ্ম অপারেশন করতে হয়। অজ্ঞান করার প্রয়োজন নেই। দুই দিনের মধ্যেই রোগী বাড়ি ফিরে যেতে পারেন। অপারেশনের তিন দিন পর স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারেন।

ডাঃ শরিফুল আলম খান
এমবিবিএস, এফসিপিএস (সার্জারি), এমএস (সার্জারি)
এফএমএএস, ডিএমএএস
এডভান্সড ল্যাপারোস্কপিক, কলোরেক্টাল ও জেনারেল সার্জন।
(ওয়ার্ল্ড ল্যাপারোস্কপিক হসপিটাল থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত)
যশোর মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল, যশোর।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ