কোনো কোনো শিক্ষার্থী বলছেন অটোপাশ চাই। আবার কেউবা বলছেন পরীক্ষা নিয়ে মূল্যায়ন করা উচিত। প্রথমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের যে সিলেবাসটি প্রকাশ করা হয়, সেটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ার দ্বিতীয়বার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এই সিলেবাসও অনেককে সন্তুষ্ট করতে পারছে না।

অটোপাশ দাবিকারীরা বলছেন, পরীক্ষা দিতে গিয়ে করোনা হলে তার কী হবে?  আসলে কোভিডে অল্পবয়সীদের মৃত্যুর হার খুবই কম। তাদের টিকাও দেওয়া যাবে না, কারণ আঠারোর নিচে কাউকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। আবার এই জীবাণু যদি তারা বহন করে এবং তাদের সংস্পর্শে অন্য কেউ কোভিডে আক্রান্ত হয়? সে ক্ষেত্রে পরিবারের বড়দের ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৬০ লাখ মানুষকে প্রথম ডোজ টিকাদানের সক্ষমতা রয়েছে, অনেকেই নিচ্ছেন না এ টিকা। টিকা নিয়ে ভুল ধারণাই এ অসচেতনতার জন্য দায়ী।

আবার কোভিড সংক্রমিতদের পরীক্ষা দিতে দেওয়া হবে কিনা, এটা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। সরকারকে বিকল্প ব্যবস্থায় তাদের পরীক্ষা নিতে হবে। 

কেউবা বলছেন এসএসসি পরীক্ষা হয়ে ফল বেরোবার পর কলেজে ভর্তি হতে হতে অনেক সময় লাগবে। এর দরুন সেশনজট দেখা দেবে। কিন্তু সারা বাংলাদেশই সেশনজট সমস্যায় ভুগছে। এসএসসি-২০ এর শিক্ষা কার্যক্রম জুলাইয়ে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয়েছে অক্টোবরের চার তারিখ। প্রথমবর্ষের কোন পরীক্ষাই এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। সেশনজট বিষয়ে সরকারের অভিমত না জেনেই অটোপাশবাদীরা নানা রকম জল্পনা-কল্পনার জাল বুনছেন।  ইতোমধ্যেই   ফেসবুকে ২০২১ এসএসসি বাতিল চাই নামে একটি গ্রুপ সক্রিয়ভাবে অটোপাশের জন্য প্রচারণা চালাচ্ছে। আমার অনুরোধ, গ্রুপের সদস্যগণ ফেসবুকে সক্রিয় না হয়ে পড়ার টেবিলে সক্রিয় হন। তাছাড়া আপনারা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০২০-এর ১৬ মার্চ পর্যন্ত অফলাইনে ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছেন, সেটার কী হবে? 

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাবিদরা অটোপাশ চাওয়ার প্রবণতাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যায়িত করেছেন। আমি শিক্ষাবিদ নই, কিন্তু তাদের সাথে সমস্বরে আমিও বলব, দুর্ভাগ্যজনক। 




শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে