আখেরী চাহার শোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। আখেরী চাহার শোম্বা একটি আরবী ও ফার্সি শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ আখেরী, যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা, যার অর্থ “চতুর্থ বুধবার”অথবা ছফর মাসের শেষ বুধবার।
এর ভিত্তি হ’ল- মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বুধবার রাসূল (ছাঃ)-এর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে তিনি বারবার বেহুঁশ হয়ে পড়তে থাকেন। অতঃপর তাঁর মাথার উপরে পানি ঢালা হ’লে তিনি একটু হালকা বোধ করলে মসজিদে গিয়ে যোহরের ছালাত আদায় করেন এবং মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন’ (বুখারী হা/৪৪৪২; ইবনু হিশাম ২/৬৪৯)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত দিবস ঘটা করে পালন করা হয় এবং সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। অথচ এটি সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী প্রথা। ছাহাবায়ে কেরামের যামানায় এরূপ প্রথার কোন অস্তিত্ব ছিল না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ যদি এমন কোন আমল করে, যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী হা/২৬৯৭; মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/১৪০)।
ইসলাম ধর্ম অনুসারীদের কাছে "আখেরী চাহার সোম্বা" অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন বা ঘটনা।
আখেরী হচ্ছে আরবি শব্দ যার অর্থ শেষ আর চাহার সোম্বা ফার্সি শব্দ যার অর্থ চতুর্থ বুধবার।
হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) শারিরীকভাবে খুবই অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। ২৮ সফর বুধবার মহানবী (সাঃ) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।
তাই এই দিনটিকে আখেরী চাহার সোম্বা বলা হয়।
আখেরী চাহার শোম্বা কী?
এটা অনেক মুসলিম-ই জানেনা,জানে না এর গুরুত্ব!
আখেরী চাহার শোম্বা হলো ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি স্মারক দিবস। আখেরী চাহার শোম্বা একটি আরবী ও ফার্সি শব্দ-যুগল; এর আরবী অংশ আখেরী, যার অর্থ “শেষ” এবং ফার্সি অংশ চাহার শোম্বা, যার অর্থ “চতুর্থ বুধবার”।
আজ বুধবার আখেরী চাহার শোম্বা। এক হাজার ৪০০ বছর আগে ২৩ হিজরির শুরুতে মহানবী (সাঃ) গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমমাতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না।
২৮ সফর বুধবার মহানবী সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার। এ দিন গোসল করেন রাসূল (সাঃ)। নামাজে ইমামতি করেন এই দিন।
মদীনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং দলে দলে এসে নবীকে একনজর দেখে গেলেন। সকলে তাদের সাধ্য মতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন।নবীর রোগমুক্তিতে তাঁর অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে ,তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন, যেমনঃ আবু বকর সিদ্দিক ৫ হাজার দিরহাম, উমর ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ১০০ উট, ইবনে আউফ ১০০ উট দান করেন।
কিছু নির্দিষ্ট বিধি-বিধানের আলোকে 'আখেরী চাহার শোম্বা' পালন করা হয়; যদিও ধর্ম-তত্ত্ববিদগণের মধ্যে এই দিবসটি পালন করা নিয়ে কিছুটা মতভেদ রয়েছে। দিবসটি মূলতঃ ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসাবে পালিত হয়; যাতে সাধারণতঃ গোসল করে দু’রাকাত শোকরানা-নফল নামাজ আদায় শেষে রোগ থেকে মুক্তির দোয়া ও দান-খয়রাত করা হয়। বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা, দরবার, খানকায় ওয়াজ-নসিহত, জিকির-আসকার, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয় এই দিনটি পালন উপলক্ষে। এদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিভাবে বন্ধ রাখার পাশাপাশি অফিস-আদালতে ঐচ্ছিকভাবে ছুটির দিন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
তবে ২৯ সফর আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন মহানবী (সা.)। তার মাত্র ১৫ দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইন্তেকাল করেন মানবতার মুক্তিদূত মহানবী (সাঃ)।
২৩ হিজরির শুরুতে দয়াল নবী (সাঃ) গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার মহানবী (সাঃ) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।
এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় মহানবী মোহাম্মদ(সঃ)গোসল করেন।শেষবারের মত নামাজে ইমামতি করেন। মদীনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন[৩] এবং দলে দলে এসে নবীকে একনজর দেখে গেলেন।[৪] সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন।[৩] নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন;[৩] যেমনঃ আবু বকর সিদ্দিক ৫ হাজার দিরহাম, উমর ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ১০০ উট এবং ইবনে আউফ ১০০ উট দান করেন।[৪]
উল্লেখ্য যে, ২৯ সফর তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার মাত্র ১৫ দিন পর ১২ রবিউল আউয়াল ইহকাল ত্যাগ করেন মানবতার মুক্তিদূত হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)।
আখেরী চাহার সোম্বা’ কথাটি ফার্সী। এর অর্থ ছফর মাসের শেষ বুধবার। ইরান, ইরাক, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে এটি দিবস হিসাবে পালিত হয়ে থাকে। এর ভিত্তি হ’ল- মৃত্যুর পাঁচদিন পূর্বে বুধবার রাসূল (ছাঃ)-এর দেহের উত্তাপ ও মাথাব্যথা খুব বৃদ্ধি পায়। তাতে তিনি বারবার বেহুঁশ হয়ে পড়তে থাকেন। অতঃপর তাঁর মাথার উপরে পানি ঢালা হ’লে তিনি একটু হালকা বোধ করলে মসজিদে গিয়ে যোহরের ছালাত আদায় করেন এবং মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন’ (বুখারী হা/৪৪৪২; ইবনু হিশাম ২/৬৪৯)। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উক্ত দিবস ঘটা করে পালন করা হয় এবং সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়। অথচ এটি সম্পূর্ণরূপে বিদ‘আতী প্রথা। ছাহাবায়ে কেরামের যামানায় এরূপ প্রথার কোন অস্তিত্ব ছিল না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ যদি এমন কোন আমল করে, যার প্রতি আমাদের নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত’ (বুখারী হা/২৬৯৭; মুসলিম হা/১৭১৮; মিশকাত হা/১৪০)।
দারুল ইফতা
হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
Copied from: Shadat Hosain [Facebook]