এশার নামায মোট ১5 রাকাত কিন্তু বেশির ভাগেই ৯ রাকাত পড়ে। আপনি ৯ রাকাত নামায পড়তে পারবেন যেমন ৪( ফরজ) + ২ (সুন্নত) + ৩ (বেতর)=৯ রাকাত। অথবা ৪ (সুন্নত) + ৪( ফরজ) + ২ (সুন্নত) +২ (নফল) + ৩ (বেতর)=১৫ রাকাত পড়তে পারেন। কিন্তু ৪( ফরজ) + ২ (সুন্নত) + ৩ (বেতর)=৯ রাকাত।এই ৯ রাকাত পড়তেই হবে।
বেতরের নামায তবে এটার সাথে এশার নামাযের কোন সম্পৃক্ততা নেই। এটা ঘুম থেকে শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদ নামাযের পর পড়া উত্তম। তবে যারা ঠিকমত ঘুম থেকে জাগতে পারেন না, তাদের জন্য উচিত হবে এশার নামাযের পরপরই পড়ে নেওয়া। হাদিস মতে, বিতরের নামাজ ১ রাকাত, ৩ রাকাত, ৫ রাকাত, ৭ রাকাত পড়া যায়।
তবে ৫ ওয়াক্ত নামাযের মোট ২০ রাকাতকেই ফরজ নামায বলা হয়েছে যা ৩ রাকাত বেতর সহ। বেতর নামাযকে ফরজ নামাযের সমতল্য করা হয়েছে তাই আপনি সর্বোনিম্ন ৯ রাকাত এশার নামায পড়বেন।
তবে নফল নামায নিজের ইচ্ছা উপর নির্ভর। নফল নামায পড়লে সওয়াব পাবেন না পড়লে নাই। তাই বেশির ভাগ মানুষ ৯ রাকাত বা ১৫ রাকাত নামায পড়ে।
ধন্যবাদ।
এশার নামাজ বিতরসহ ১৭ রাকাত। আর বিতর ছাড়া ১৪ রাকাত। তবে ফরজ হচ্ছে ৪ রাকাত। মূলত ফরজই হলো মূল এশার নামাজ। যদি কেউ ঐ ৪ রাকাত আদায় না করে তবে সে আল্লাহর আদালতে জবাবদিহি করতে হবে। আর বাকি হচ্ছে সুন্নত ও নফল এবং বিতর। (বিতর ও সুন্নত নামাজের অন্তর্গত। তবে ইমাম আবু হানিফা রাহ. বিতরকে ওয়াজিব বলেছেন।)
আর বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী সুন্নত আদায় না করলে গোনাহ হয় না। তবে সুন্নত নামাজ আদায় না করা কাম্য নয়।
একইভাবে নফল নামজ হলো ঐচ্ছিক সাবজেক্ট। পড়লে নেকি হবে। না পড়লে গোনাহ নেই।
এবার রাকারগুলোর হিসেব দেখি।
সুন্নত ৪ + ফরজ ৪ + সুন্নতে মুয়াক্কাদা ২ + নফল ২+২=৪+ বিতর ৩ মোট সতের।
আপনি এই বিষয়টি আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে এই পোস্টটি পড়তে পারেন।