ব-দ্বীপ কাকে বলে?

ইন্দোনেশিয়ার লোমবক দ্বীপকে মসলা-দ্বীপ বলা হয়।

মধ্যপ্রবাহের পর থেকে মোহনা তথা নদীর সমাপ্তিস্থল পর্যন্ত নদীর শেষ বা অন্তিম প্রবাহকে নিম্নপ্রবাহ বা ব-দ্বীপ প্রবাহ (Lower Course Or, Deltaic Course) বলে ।

প্রধান নদীর সাথে যেখানে উপনদী এসে মিলিত হয় সেখানে উপনদী দ্বারা নুড়ি, বালি, কর্দম প্রভৃতি সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয় । একে নদী ব-দ্বীপ বলে ।

বিশাল হ্রদে অনেকসময় নদী এসে পতিত হয় । এর ফলে নদীবাহিত নুড়ি, বালি, কর্দম প্রভৃতি হ্রদসংলগ্ন নদীমোহনায় জমা হয়ে ব-দ্বীপ গড়ে উঠলে তাকে হ্রদ ব-দ্বীপ বলে ।

নদী যেখানে সমুদ্রে মিলিত হয়, সেই অংশকে নদীর মোহনা বলে । এই অংশে নদীর স্রোত সমুদ্রে বাঁধাপ্রাপ্ত হয় বলে নদীবাহিত যাবতীয় পলি, বালি, কর্দম এই স্থানে জমা হয় এবং ব-দ্বীপ...

যে সকল ব-দ্বীপের সমুদ্রমুখী রেখা সমুদ্রের দিকে ধনুকের মত বেঁকে যায়, তাদের ধনুকাকৃতি ব-দ্বীপ (Arcuate Delta) বলে ।

ব-দ্বীপের আকৃতি বিবর্তিত হতে হতে কালক্রমে তা পাখির পায়ের মত আকার ধারণ করলে তাকে পক্ষীপদসদৃশ ব-দ্বীপ বা পাখির পায়ের মত ব-দ্বীপ (Bird-foot Delta) বলে ।

ত্রিকোণাকার ব-দ্বীপের মধ্যভাগ বরাবর প্রবাহিত মূল নদীটি যদি ক্রমশ সমুদ্রের অভ্যন্তরভাগে আরও প্রবেশ করতে থাকে তাহলে ঐ মূল নদীর দুই পাশে বাহিত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে ত্রিকোণাকার ব-দ্বীপের অগ্রভাগ করাতের দাঁতের...

শ্রীলঙ্কাকে দারুচিনি দ্বীপ বলে।

কোনো পৃষ্ঠের এক বর্গমিটার ক্ষেত্রফলে আপতিত আলোক ফ্লাঙ্রে পরিমাণকে ঐ তলের দীপন তীব্রতা বলে।