। বিভিন্ন গুণের কর্মের দ্বারা জীব কি ফল লাভ করে?

“বাজার শেষ করে বাড়ি”-বাক্যটিতে আকাঙ্ক্ষা গুণের অভাব রয়েছে।

উঃ জড়জগতে বদ্ধ জীব ভগবানের বহিরঙ্গা ত্রিগুণাত্মিকা মায়া শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয়।

ভগবানের চরণে প্রপত্তি করলে অর্থাৎ আত্মসমর্পণ করলে তার এই | ত্রিগুণময়ী দুরতিক্রমনীয় মায়ার প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

যা কর্ম করা হয়, যা আহার করা হয়, যা পূজা করা হয়, যা দান করা হয়, যা তপস্যা করা হয় সে সমস্ত কর্মের ফল ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে অর্পণ করলে কর্মের...

ভগবান সমস্ত জীবকে সমান দৃষ্টিতে দেখেন। তার অর্থ হচ্ছে প্রত্যেকটি জীবের কর্ম অনুসারে যথাযােগ্য ফল তিনি তাকে প্রদান করে থাকেন। ভগবানের কেউ প্রিয় নয় বা অপ্রিয় নয়। কিন্তু যারা ভক্তি...

উঃ জীব যখন জড় প্রকৃতির সংস্পর্শে আসে তখন সে এই ত্রিণের দ্বারা আবদ্ধ হয়, যেহেতু ভাড়া প্রকৃতি থেকে সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ - এই তিনটি গুণ প্রকাশিত হয়।

উঃ দেহের নটি দ্বার রয়েছে দুটি চক্ষু, দুটি কর্ণ, দুটি নাসারন্ধ্র, মুখ, উপস্থ এবং পায়ু । প্রতিটি দ্বারে যখন সত্ত্ব গুণের বিকাশ হয় তখন সে যথাযথ ভাবে দর্শন করতে...

সত্ত্বগুণস্থ ব্যক্তি উর্ধগতি লাভ করে উচ্চতর লােকে গমন করেন। রাজসিক ব্যক্তি নরলােকে অবস্থান করেন, তামসিক ব্যক্তি অধঃপতিত হয়ে নরকে গমন করেন।

জীব চক্ষু দ্বারা রূপকে, কর্ণ দ্বারা শব্দ, নাসিকা দ্বারা গন্ধ, জিহ্বা দ্বারা স্বাদ ও ত্বক দ্বারা স্পর্শ উপভােগ করে থাকে।

সাত্ত্বিক ব্যক্তিরা দেবতাদের পূজা করে, রাজসিক ব্যক্তিরা যক্ষ ও রাক্ষসদের পূজা করে এবং তামসিক ব্যক্তিরা ভূত-প্রেতাদির পূজা করে ।