Ami bij gonit bujhi nah Class 6 thika ami halka patla partam ekhon ssc dibo ami temon bhalo student nah tobe amr hotat kore iccha hocche ami chescta korle larbo tobe kew jodi ektu amke bolten kivabe ami bijgonit thikvabe bujhbo tobe amkey bolun ?

প্রশ্নটি করার জন্য ধন্যবাদ*


কিছু কিছু ছাত্রের কাছে পৃথিবীর সবচাইতে কঠিন কাজ হলো অঙ্ক করা। এখানে এতো সুত্র, এত এত সমীকরণ! এত কিছু কি আমার ছোট্ট মাথায় মনে থাকে! অবশ্যই থাকে। নইলে অন্যরা মনে রাখে কিভাবে?

 বীজগণিতে ভালো মার্ক পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিচে সেরকম কিছু নিয়ম দেয়া হলোঃ

★তোমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ‘প্র্যাকটিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট’, কিছু কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে তুমি প্রথমবারে সঠিক সমাধান নাও পেতে পারো। এরকম হলে কিছুক্ষণ পরে আবার চেষ্টা করো।

★একদিনেই বীজগণিতের একাধিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করতে যাবা না। তোমার কাছে যেই টপিকটা সবচাইতে বেশী সহজ মনে হয় সেই টপিকটা নিয়ে আগে বসো, সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করো, অঙ্কগুলো নিজে নিজে করার চেষ্টা করো, প্রয়োজন হলে টিউটরের সাহায্য নাও। তবে খেয়াল রাখতে হবে তুমি যেই বিষয়টা বুঝবা না সেটা নিয়েই টিউটরের সাথে আলোচনা করবা।

★অনেকেই আছে যারা কোন বিষয় বুঝতে না পারলেই গুগলে সার্চ দেয়। কিন্তু এটা উচিত নয়। তোমার উচিত হবে ভালো বই সংগ্রহ করা এবং নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করা। গণিতের মজার সব ধাঁধা সমাধান করার চেষ্টা করো। এই জন্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা নিউরনে অণুরণন, নিউরনে আবারো অনুরণন বই দুটি পড়তে পারো। বই দুটিতে চারশ মজার সব ধাঁধা আছে।

★ক্লাসের বইয়ের পাঠগুলো যখন শিক্ষক পড়াবেন তখন প্রয়োজনীয় বিষয়, সুত্রগুলো খাতায় নোট করে নাও।

★যখন কোন একটি অধ্যায় শেষ হবে তখন এমন কিছু প্রশ্ন খুঁজে বের করো যেগুলোর উত্তর দেয়া আছে। এখন তুমি উত্তরগুলো না দেখে সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করো। আর হ্যা, যদি প্রয়োজন হয় তবেই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করবা। ছোটখাটো কাজগুলো ক্যালকুলেটর ছাড়াই করার চেষ্টা করবা।

★যেকোন পাঠ শেষ করার পরে তুমি সেই পাঠটা নিয়ে তোমার শিক্ষকের সাথে আলোচনা করো। তোমার করা নোটগুলো শিক্ষককে দেখাও। কোথাও ভুল থাকলে সংশোধন করে নাও।

★বীজগণিত এমন একটা বিষয় যেখানে মুখস্ত করা বলতে কিছুই নেই। যখন তুমি একটা অধ্যায় শেষ করবে তখন একই রকম আরো সমস্যা সমাধান করো যেগুলো তোমার বইয়ে নেই।


★ তুমি যে পাঠগুলো সম্পন্ন করেছ সেগুলো নিয়মিতো রিভিউ করো। নইলে ভুলে যাবে।

★বীজগণিতের সাধারণ সুত্রগুলি মনে রাখতে চেষ্টা করো।

★নিজে নিজে টেস্ট পরীক্ষা দাও। এইজন্য সহায়ক বইয়ের সাহায্য নিতে পারো। সহায়ক বইয়ের শেষে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়া থাকে। সেগুলোকে প্রশ্ন হিসেবে ব্যবহার করো। খাতাও নিজে মূল্যায়ন করো।

★সবথেকে বড় কথা প্রতি মুহুর্তে তুমি কোন না কোন নতুন বিষয় শিখছো। বীজগণিত করতে গেলে প্রতিদিনই শিখতে হয় নতুন কোন সুত্র।সুত্রগুলো মুখস্ত না করে সুত্রগুলো কিভাবে এসেছে সেটা মনে রাখো।