৭২ এর সংবিধানের ধুয়ো তুলে যারা সেকুলারিজমের পক্ষ নিচ্ছেন, এইসব ভন্ডরা ৩০ ডিসেম্বর বা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় কোথায় ছিলেন, যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধর্ষিত হয়েছে? ৭২ এর সংবিধানে গণতন্ত্র কি মূলনীতি হিসেবে কি এইসব ভন্ডরা দেখেনি।

সংবিধানের চারটা মূলনীতির বাকিটা তিনটা নিয়ে এই বুদ্ধিচোরারা কখনো কথা বলে না। গণতন্ত্র তো নেই। সমাজতন্ত্র নিয়ে যদি বলেন, দেশে এখন ধনী-গরিবের যে বৈষম্য, সারা পৃথিবীতে তা খুঁজে পাওয়া ভার। জাতীয়বাদ কোথায় থাকে, যখন দাদাদের ইলিশ মাছ খাইয়ে, সব আবদার রক্ষা করে, আবার বলে আসতে হয় — যা দিলাম দাদা, সারাজীবন মনে রাখবেন?

৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলার মানুষ সেকুরালিজমের জন্য পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এ কথা আদৌ বিশ্বাসযোগ্য নয়। ধর্মপ্রাণ সেনা ও জনতা যখন প্রাণ বাজি রেখে স্বাধীনতার জন্যে লড়ছিল, তখন সেকুলাররা কলকাতার নাইট ক্লাবে মাস্তি করছিল। পড়ুন — অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা — মেজর জলিল।

আজকে দেশে ৯০ ভাগ মানুষ ইসলামকে জীবনবিধান হিসেবে স্বীকার করেছে। এর প্রতিফলন যদি সংবিধানে না থাকে, তাহলে এই সংবিধান ভুল। এই বেকার সেকুলারিজম সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণ করতে পারেনি। কিন্তু ইসলামের মধ্যে সেই উপাদানগুলো আছে যা একটি শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ইসলামী রাষ্ট্র সকল সংখ্যালঘুর নিরাপত্তার জন্যে দায়বদ্ধ। যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে পরিচয় দেয়, কিন্তু রাষ্ট্রে ইসলামী শাসনব্যবস্থা চায় না — তারা মুনাফিক।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ