ককেশীয় জাতি (এছাড়াও কাকোকিওড বা ইউরোপিড) ঐতিহাসিকভাবে জৈবিক ট্যাক্সন হিসেবে বিবেচিত মানুষের গোষ্ঠীভুক্ত, যা ঐতিহাসিক জাতি শ্রেণিবদ্ধ ব্যবহারগুলির উপর ভিত্তি করে ব্যবহৃত হয়, সাধারণত ইউরোপের কয়েকটি বা সমস্ত প্রাচীন এবং আধুনিক জনসংখ্যার অন্তর্ভুক্ত থাকে, ককেশাস, এশিয়া মাইনর, উত্তর আফ্রিকা, আফ্রিকা হর্ন, পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়া।
জৈব নৃবিজ্ঞানে, কাকোকিওডকে বিভিন্ন অঞ্চলগুলির ফিনোটাইপিকভাবে অনুরূপ গোষ্ঠীর জন্য একটি ছাতা শব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা কঙ্কাল শরীরবিজ্ঞান এবং বিশেষ করে ক্র্যানিয়াল মোরাফোলজি, ত্বকে টোনের উপরে। এভাবে আদি ও আধুনিক "কাকোকিওড" জনসংখ্যাটি সাদা থেকে গাঢ় বাদামী রঙে বর্ণিত ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মূল শব্দ ককেশীয় এছাড়াও প্রায়ই "সাদা" বা "ইউরোপীয় বংশবৃত্তান্তের" জন্য একটি সমার্থক হিসাবে একটি ভিন্ন, সামাজিক প্রসঙ্গে ব্যবহৃত হয়।
ককেশীয় জাতি
ইংরেজি : Caucasian race, Caucasoid।
দৈহিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে নৃবিজ্ঞানে ব্যবহৃত একটি শব্দ। কেউ কেউ একে ইউরোপীয় বলে থাকেন। যেহেতু এরা ইউরোপের আদি বাসিন্দা ছিল না বা বর্তমানেও শুধু ইউরোপেও এই জাতির মানুষ বাস করে না। সেই বিচারে ইউরোপীয় না বলাটাই সঙ্গত হবে।
এদের বর্তমান বসতি ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা, পশ্চিম ও মধ্য এশিয়া, এশিয়া মাইনর এবং দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে। ককেশাস অঞ্চলের আদিবাসী ভেইনাখ-দের সূত্রে। উল্লেখ্য ভেইনাখ-দের উত্তরপুরুষরা পরিচিত ছিল কাভ্কাস (Kavkas) নামে। জাতিসত্ত্বার পরিচয়জ্ঞাপক নামটি পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল কাভকাসিয়ানস (Kavkasians)। ইউরোপীয় ভাষায়, বিশেষ করে ইংরেজি ভাষায় এই শব্দটি পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছে ককেশিয়ান Caucasian। ১৭৮৫ খ্রিষ্টাব্দে জার্মান দার্শনিক খ্রিস্টোফার মেইনার্স তাঁর The Outline of History of Mankind গ্রন্থে ককেশিয়ান জাতি সম্পর্কে ধারণা দেন। ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জার্মান বিজ্ঞানী Johann Friedrich Blumenbach, মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের বিচারে মানুষকে শ্রেণিবিভাজনের সময় ককেশীয় মানুষ (Caucasian peoples) শব্দটি ব্যবহার করেন। মানুষের পৃথক জাতিগত শ্রেণি হিসেবে তিনি তাঁর বক্তব্যকে সুষ্পষ্টভাবে তুলে ধরেন।
ককেশীয়দের গায়ের রঙ সাদা বা সাদাটে। এদের চোখ বেশ প্রশারিত। নাক বেশ উন্নত।
ককেশীয়দেরকে প্রধানত চারটি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এই ভাগগুলো হলো―