ভিন্নত্ব বিশেষ কিছু নেই। বড় পার্থক্য হল আমরা সাধারণ মানুষেরা ব্রেইন এর উপযুক্ত ব্যবহার না করে মরচে ফেলি আর আইনস্টাইন ব্রেইন এর মাত্র ১০% ব্যবহার করেই বিশ্ব কে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।

আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গঠন নিয়ে বেশ কয়েক দফা গবেষণা হয়েছে। তবে স্বাভাবিক মস্তিষ্কের সঙ্গে তাঁর মস্তিষ্কের বড় কোনো পার্থক্য পাওয়া যায়নি। তবে সম্প্রতি চীনের একদল গবেষক দাবি করছেন, আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের গঠন ব্যতিক্রমী ছিল। আর এ কারণেই তিনি অনন্যসাধারণ মেধার অধিকারী ছিলেন। বিজ্ঞান সাময়িকী ব্রেন এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

চীনের সাংহাইয়ে অবস্থিত ইস্ট চায়না নরম্যাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষক উইউই মেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক নতুন একটি কৌশল প্রয়োগ করে কাজ শুরু করেন আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের ছবি নিয়ে। মার্কিন গবেষকদের কাছ থেকে এসব ছবি সংগ্রহ করা হয়েছিল। চীনা গবেষকেরা আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের মধ্যবর্তী তন্তুময় অংশটি (করপাস কলোসাম) বিশদভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। করপাস কলোসামই মস্তিষ্কের ডান ও বাঁ অংশের মধ্যে যোগাযোগ বা সমন্বয় রাখে। তুলনামূলক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আইনস্টাইনের করপাস কলোসাম সুগঠিত ছিল। হয়তো এটিই তাঁর ব্যতিক্রমী মেধার মূলরহস্য।

গবেষকেরা বলেন, মস্তিষ্কের ডান অংশটি ভাষা ও সাধারণ গণনাসংক্রান্ত তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে। আর বাঁ অংশটি ব্যাকরণ, শব্দভাণ্ডার স্মৃতিতে ধারণ এবং গাণিতিক সমাধানের মতো কাজগুলো করে। মানুষ যখন কোনো কিছু বোঝার চেষ্টা করে, তখন মস্তিষ্কের ডান ও বাঁ অংশের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান হয়। এই তথ্য বিনিময়ের ব্যাপারটি করপাস কলোসামের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তাই যাঁর মস্তিষ্কের এই অংশটির গঠন ভালো, তাঁর বিশ্লেষণী দক্ষতাও তত বেশি।

সুতরাং এই সামান্য ভিন্নতা কিছুই নয় । চাইলেই আমরা তাঁর চেয়ে বড় গবেষক, বিজ্ঞানী বা পদার্থবিদ অনেক কিছুই হতে পারি যদি আমরা মস্তিষ্কের ব্যবহার করতে শিখি এবং চর্চা করি। আরেকটা মজার বিষয় হল উনি মগজ ব্যবহার করতেন হিসেব করে। অনর্থক মগজ খাটাতেন না। যা বইতে পাওয়া যায় তা মনে রাখার প্রয়োজন মনে করতেন না।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে