আমার স্ত্রী বয়স মাত্র ১৬।বিয়ে হয়েছে গত ৫ মাস আগে।আঠারো বছর হওয়ার আগেই পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হয়।মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার আগে সরকারি ভাবে যে ৫/৬ টি টিকা দেয় সেগুলো আমার স্ত্রী একটাও দেয়নি।এখন এগুলো কি না দিলে সমস্যা হবে?বা কি করতে হবে?
টিকাগুলো দিতে হয় এবং দিতে হবে। ১৬ বছর থেকে শুরু করে ১৮ ২০ ২২ সমস্যা নাই দিয়ে দেন। ইউনিয়ন স্বাস্থসেবা কেন্দ্রে গেলে দেয়া যাবে অথবা উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স এ দিতে পারবেন। এগুলো টিটি টিকা এ টিকা দিলে সন্তান প্রসবকালে আর টিকা দিতে হয় না। সন্তান প্রসবের সময় মেয়েদের একলামসিয়া/ খিচনি /ধনুসটংকার রোগ হয় যার কারনে বাচ্চা মা দুইজন মৃত্যুর ঝুকিতে থাকে তাই টিকাগুলো দিয়ে দেন। প্রথম টিকা দেয়ার দুইমাস পরে একটা ছয় মাস পর একটা এক বছর পর একটা আবার এক বছর পর সর্বশেষ একটা।
এই টিকা দান কর্ম সূচি কে PPI কর্মসূচি বলা হয়। একটি বাচ্চার জন্মের ৭ দিন থেকে ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই টিকা গুলা দেওয়া হয়। এখানে কয়েকটি ভাগ রয়েছে।কয়েক ধাপে টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। আপনি যে টিকার কথা বলছেন সেটা TT টিকা।টিটি টিকার মোট ৫ টি ডোজ আছে। যা সম্পূর্ণ করলে প্রেগ্ন্যাসির সময় বাচ্চা ও মায়ের কোন সমস্যা হয় না বা ধনুষ্টংকার রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। ১৫ বছর বয়স হলেই টিটি টিকা নেয়া শুরু করুন এবং সিডিউল অনুযায়ী ৫ ডোজ টিটি টিকা নেয়া শেষ করুন। টিটি টিকা নিয়ে নবজাত শিশু ও মা কে ধনুষ্টংকারের হাত থেকে রক্ষা করুন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা টিকাদান কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিটি টিকার একটি কার্ড করে নিন। কার্ডটি যত্ন করে রাখুন। যখনি স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা টিকাদান কেন্দ্রে যাবেন টিটি টিকার কার্ডটি অবশ্যই সাথে নিবেন। রেজিস্ট্রেশনের সময় মাঠকর্মী প্রথমবার টিটি টিকা পাওয়ার তারিখ লিখে দিবেন। পরবর্তী টিকা পাওয়ার তারিখগুলো কেন্দ্রে টিকা প্রদানের পর লিখে দিবেন। টিটি টিকার ডোজ ও সিডিউল: টিটি ১: ১৫ বছর বয়স হলেই। টিটি ২: টিটি ১ পাওয়ার কমপক্ষে ২৮ দিন পর। টিটি ৩: টিটি ২ পাওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস পর। টিটি ৪: টিটি ৩ পাওয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর। টিটি ৫: টিটি ৪ পাওয়ার কমপক্ষে ১ বছর পর। এই টিকা কি দিতেই হবেঃ হ্যাঁ অবশ্যই টিটি টিকা দিতে হবে। আপনার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হলেই এই টিকা দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করবেন ডাক্তার বা স্বাস্থ্য কর্মী। তখন যদি না দেওয়া থাকে তাহলে দেওয়ার নির্দেশ দিবে। টিকা গুলা যখন দিতেই হবে তখন দিয়ে ফেলা ভালো তাহলে প্রেগ্ন্যাসির সময় কষ্ট করা লাগবে না।