যত দিন যাচ্ছে আমাদের সমাজে আধুনিকতার ছোয়া ততই বাড়তেছে।ধর্ষণের জন্য সব সময় নারীর পোষাককে দায়ী করা ঠিক নয়,, এটা একটা পুরূষের মন মানসিকতার উপর নির্ভর করে।মহান আল্লাহ তায়া'লা একজন পুরুষের উপরেই দায়িত্ব দিয়েছে একটা নারীকে রক্ষা করা।বিয়ের আগে একজন নারীকে রক্ষা করার দায়িত্ব তার বাবার এবং ভাইয়ের আর বিয়ের পর তার স্বামীর।এখানে একটা মেয়ে পর্দার জন্য ধর্ষণ হলে অবশ্যই এই দায়টা তার বাবা,ভাই বা স্বামীর ওপরই পরবে,, কারণ সে তার দায়িত্ব পালণ করতে ব্যর্থ।কিন্তু একজন নারীর পোষাকের কারণে একজন পুরুষের যৌনকামনা জাগলো আর ধর্ষণ করলো এখানেই কিন্তু অধিক দায় পুরুষের ওপরই বর্তায়।কারণ মহাণ আল্লাহ তায়ালা চক্ষুকে সব সময় হেফাজত করতে বলেছেন।তাই ধর্ষণের জন্য নারী পুরুষ উভয়ই দায়ী, কেউ কারো দায় অস্বীকার করতে পারবে না।আশা করি বুঝতে পেরেছেন।ধন্যবাদ..
আমার ব্যাক্তিগত মতামতঃ নারীর যৌনহেনস্থার শীকার হওয়ার পিছনে পর্ণ গ্রাফি, তাদের পোশাক আশাক বা সৌন্দর্য প্রদর্শন একান্ত ভাবে দায়ী। নারীরা যদি ঘরে থাকত, তারা যদি রাস্তায় বেরিয়ে তাদের রুপ, সৌন্দর্য প্রদর্শন না করত, ইসলামী আইন অনুযায়ী পর্দা করত। তাহলে ইভটিজিং বা ধর্ষণের মতো ঘটনা খুব কম হতো। কিন্তু পর্ণ ছবি, নারীর পোশাক বা তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন যৌনসম্পর্কিত ঘটনার জন্য যতটা দায়ি, অনুরুপ আমাদের সমাজ ও পূরুষের বিকৃত মানসিকতা ততটাই দায়ি। যদি আমাদের সমাজে ইসলামী শাসন থাকত, তাহলে আজ এরকম ঘটনা দেখতে হতো না। আর আমরা পূরুষ শুধু নারীদের কে দোষ দেই। কিন্তু আমারা আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করিনা। আজ নারীরা শুধু রাস্তা নয়, ঘরের ভিতরও অনিরাপদ। কারণ তথাকথিত পূরুষের বিকৃত মানসিকতা। যখন ৪ বছরের শিশু ধর্ষিত হয়, মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষিত হয়। তখন কিন্তু আপনি পর্দাকে দায়ি করতে পারবেন না। আজ আমাদের মানসিকতার কারণে মেয়ে বাবার কাছে নিরাপদ নয়, বোন ভাইয়ের কাছে নিরাপদ নয়, ভাতিজী চাচার কাছে নিরাপদ নয়, মাদ্রাসার ছাত্রী পিতা সমতূল্য শিক্ষকের কাছে নিরাপদ নয়। এজন্য যৌনহেনস্থার জন্য শুধু নারী নয়, তথাকথিত পুরুষের বিকৃত মানসিকতাও দায়ী।