পরমাদেশ বলতে কি বোঝায়?

উদ্ভিদ তার স্বাভাবিক বৃদ্ধি, বিকাশ ও পুষ্টির জন্য মাটি, জল ও বায়ু থেকে যেসব মৌলিক খাদ্য উপাদান গ্রহণ করে, তাদের উদ্ভিদের পুষ্টিমৌল বলে।

মাটির পৃষ্ঠদেশে পানি লেগে থাকার প্রবণতা বা ক্ষমতাকে মাটির আসঞ্জন বলা হয়।

মাটির কাদা কণাগুলির পারস্পরিক আকর্ষণ করে ধরে রাখার ক্ষমতা বা প্রবণতাকে মাটির সংশক্তি বলা হয়।

নির্দিষ্ট আয়তনের মাটি ছিদ্রের মধ্যে যে পরিমাণ পানি ধরে রাখতে পারে, সেই পরিমাণকে মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বলে।

মৃত্তিকা রন্ধের মধ্যে পানির উপস্থিতি অর্থাৎ পানিসিক্ত অবস্থাকে মাটির আর্দ্রতা বলে।

মৃত্তিকা কণাগুলির মধ্যে যে ফাঁকা স্থান থাকে তার আয়তন ও মৃত্তিকার মোট আয়তনের শতকরা পরিমাণকে মৃত্তিকা সচ্ছিদ্রতা বলা হয়।

মৃত্তিকা স্তরে রন্ধ্রের মাধ্যমে জল প্রবেশ করার ক্ষমতা কে মৃত্তিকার প্রবেশ্যতা বলা হয়।

মাটির যেসব বৈশিষ্ট্যকে চোখে দেখা যায় বা অনুভব করা যায়, তাদের মাটির ভৌত ধর্ম বলে। যেমন গ্রথন, গঠন।

ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অংশে বিশেষ প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি নির্দিষ্ট মৃত্তিকা সৃষ্টির যে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে, তাকে মাটি সৃষ্টির বিশেষ প্রক্রিয়া বলে।

উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতদেহ ও বর্জ্য পদার্থের বিশ্লিষ্ট কঠিন ও জটিল পদার্থকে মাটির জৈব পদার্থ বলা হয়, যার পরিমাণ হল ৫ শতাংশ।