ভাই আমি আগে অনেক খারাপ ছিলাম, অনেক পাপ কাজ করেছি। আগে অলসতার জন্য ,শয়তানের ধোকায় পড়ে ইচ্ছা অনিচ্ছায় অনেক নামাজ ত্যাগ করেছি। কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ আমি খাঁটি মনে তওবা করেছি এবং আল্লাহ রহমতে আমি এখন সব পাপ কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি আজ ৭ মাস কোনো ওয়াক্ত নাম মিস দিই নাই ,ও সকল পাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টাও করছি ।এখন প্রশ্ন হলো ভাই ,আমি যে তওবা করার পূর্বে অনেক নামাজ ত্যাগ করেছি তা কি আল্লাহ আমাকে মাফ করবে নাকি আমাকে এইসব নামাজ কাযা আদায় করতে হবে? আর আমি তো অনেক নামাজ ত্যাগ করেছি যার কোনো হিসাব নেই । আর যদি ক্বাযা করতে হয় তাহলে এত নামাজ কিভাবে ক্বাযা করব? এর আগে যদি আমার মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে আমি কি জাহান্নামী হয়ে যাবো? আল্লাহ কি আমাকে কে ক্ষমা করবে না?? 


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jahang

Call

ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার প্রশ্নের উত্তর হলো ভাই আপনি ইখলাসের সাথে সকল ইবাদাত পালন করতে থাকুন এবং আল্লাহ্ তায়ালার নিকট একনিষ্ঠ ভাবে বিগত গুণাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন ইনশাল্লাহ আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে ক্ষমা করে দিবেন আল্লাহ্ তায়ালা নিজেই কোরআন হাদিসে অগণিত বার উল্লেখ করেছেন তিনি পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্ তায়ালা আপনাকে সহ  আমাদের সকলকে মাফ করে দিন  এখন কথা হলো আপনার ছুটে যাওয়া ইবাদাত নিয়ে আপনি আপনার কাযা নামাজ আদায় করতে এভাবে নিয়ত করবেন যখন ফজরের নামাজ কাযা করবেন  বলবেন আমি আমার জীবনে ছুটে যাওয়া সকল ফজরের নামাজ হতে প্রথম ফজরের কাযা করছি এভাবে দ্বিতীয় তৃতীয় বলে বলে কাযা করতে থাকবেন আপনার মন সাক্ষ্য দেওয়া পর্যন্ত যে এখন আপনার বিগত ছুটে যাওয়া সকল ফজরের নামাজ কাযা করা শেষ হয়েছে এভাবে যোহর আসর সকল নামাজ এই নিয়মে কাযা করবেন এবং সব সময় পূর্বের গুণাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন গুরুত্বের সাথে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে তিন সময় সকল নামাজ আদায় করা হারাম তা হলো সূর্য উঠা সূর্য ডুবা এবং সূর্য মধ্য আকাশে অর্থাৎ মাথা বরাবর থাকা অবস্থায় এছাড়া যেকোনো সময় আপনি আপনার কাযা নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং সকল দ্বীনি বিষয়ে অবশ্যই কোন না কোন হক্বপন্থি বিশেষ করে দেওবন্দি ধারার যা আমাদের দেশে কওমি মাদ্রাসার আলেমদেরকে বোঝানো হয়ে থাকে সম্পর্ক রেখে পরামর্শ অনুযায়ী সকল ইবাদাত করার এবং জীবনভর আমল করার আবেদন রইলো 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ