, আউটসোর্সিং বলতে কোন একটি ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে করিয়ে নেয়াকে বুঝায়।।। কোনো কোম্পানী বা প্রতিষ্টান তাদের কাজ করার জন্য প্রয়োজন হিসেব করে লোক নিয়োগ দেবেন এটাই স্বাভাবিক। যেমন ধরুন কোন প্রতিষ্টানের একটি কাষ্টমাইজ সফটওয়্যার তৈরী করা প্রয়োজন। সেই প্রতিষ্টান সেই কাজের উপযোগি প্রোগ্রামার খোজ করতে পারেন। কাজ অনুযায়ী একজন কিংবা বহুজন। এই পদ্ধতির সমস্যা হচ্ছে, সবচেয়ে দক্ষ প্রোগ্রামার পাওয়া যাবে এমন কথা নেই, প্রোগ্রামারদের জন্য মাসিক বেতন দিলে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় করতে হয়, নির্দিষ্ট কাজ শেষে তাদের করানোর মত কাজ নাও থাকতে পারে। এককথায় লোক নিয়োগ দিলে একদিকে দক্ষতার সমস্যা অন্যদিকে খরচ বৃদ্ধি। এর সমাধান হতে পারে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে। তারা কাজটি এমন কাউকে (ব্যক্তি বা প্রতিস্ঠান) দেবেন যারা কাজটি করে দেবে। যদি ইন্টারনেট ভিত্তিক কাজ হয় তাহলে সারা বিশ্বের যে কোন জায়গা থেকে দক্ষ ব্যাক্তি যেমন পাওয়া যাবে তেমনি প্রতিযোগিতামুলক খরচে করা যাবে। এটাই আউটসোর্সিং। আপনার যে লোকবল নেই সেই লোকবল বাইরে থেকে ব্যবহার করা। আপনি কিভাবে এতে অংশ নিতে পারেন ? আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ খুজতে পারেন। যারা আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কাজ করার তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের কাজের কথা জানান। আপনি সেই কাজ করার আগ্রহ দেখাতে পারেন। অর্থাৎ নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, লোকবল এবং অন্যান্য যা কিছু প্রয়োজন এগুলি থাকলে সেটা উল্লেখ করে কত খরচে, কত সময়ে কাজটি করে দিতে পারেন জানাবেন। তারা সন্তুষ্ট হলে আপনি কাজ পাবেন। সাধারনত আউটসোর্সিং এর জন্য প্রতিষ্টান বা কয়েক জনের দল প্রয়োজন হয় যেখানে বিভিন্ন ধরনের দক্ষতাসম্পন্ন ব্যক্তি থাকেন। আউটসোর্সিং এর জন্য আপনি প্রতিষ্টান বা দল গড়বেন, অথবা কোন দলে যোগ দেবেন। কিন্তু আপনি যদি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেই স্বাধীনভাবে কাজ করতে চান ? সে সুযোগও রয়েছে ভালভাবেই। আউটসোর্সিং এর চেয়ে ছোট কাজের কথা ভাবুন। কোন ব্যক্তি (বা প্রতিষ্টান) তাদের লোগো তৈরী করিয়ে নিতে চায়। তারপক্ষে নিশ্চয়ই একজন্য কাউকে চাকরী দেয়া সম্ভব না। তিনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে একাজে দক্ষ কাউকে খোজ করতে পারেন। নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে তিনি তারকাছে কাজটি করিয়ে নেবেন। একজন ব্যক্তির পক্ষে যোগাযোগ করে আরেকজনকে খুজে বের করার কাজটি জটিল। এখানে ভুমিকা নেয় কিছু প্রতিস্ঠান। আপনি যদি কাজ করার জন্য কাউকে খোজে তাহলে তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন, এই প্রতিষ্টান গুলি তাদের ওয়েব সাইটে সেগুলি জমা রাখবে। আপনি যদি কাজ খুজতে চান তাহলেও সেখানে যোগাযোগ করবেন। কাজের লিষ্ট দেখে পছন্দের কাজের জন্য আবেদন করবেন। প্রতিটি কাজ যেহেতু দেয়া হচ্ছে সারা বিম্বের বিপুল পরিমান মানুষের সামনে সেহেতু এর নাম ক্রাউসসোর্সিং। আপনি যদি আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কাজ করতে চান তাহলে আপনার প্রয়োজন কি করতে চান সেটা ঠিক করা (ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েবসাইট তৈরী, লেখালেখি, ফটোগ্রাফি যেকোন কিছুই হতে পারে), সেই কাজে দক্ষতা অর্জন করা, কোন আউটসোর্সিং সাইটের সদস্য হওয়া (সাধারনত এজন্য কোন ফি দিতে হয় না), এরপর নিয়মিত তাদের সাইটে কাজের লিষ্ট দেখে সেখানে আবেদন করা। আপনার প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট সংযোগ সহ কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটে অর্থ লেনদেনের ব্যবস্থা। ফ্রিল্যান্সার, ও-ডেস্ক ইত্যাদি অত্যন্ত নামকরা প্রতিস্ঠান। তাদের সাইটে সবসময়ই হাজার হাজার কাজ জমা থাকে। সত্যি বলতে কি, এমন কোন কাজ নেই যা তাদের কাছে পাওয়া যায় না।।।
কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে
দেশ -বিদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার
কাজ অর্থের বিনিয়ে সম্পাদন করাকে আউটসোর্সিং বা
ফ্রিল্যাস্নিং বলে।
আউটসোর্সিংকে উন্মুক্ত পেশা বা স্বাধীন পেশা বলা হয়।
যারা আউটসোর্সিং এর কাজ করে তাদের ফ্রিল্যাস্নার বলা হয়।
ফ্রিল্যান্সার হচ্ছে এমন এক ব্যক্তি যিনি কনো প্রতিষ্ঠানের সাথে
দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি ছাড়া স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে।