tanmin

Call

অবশ্যই কনডম ব্যবহার করতে হবে এর সাথে তেল নয় লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হবে। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

  স্ত্রী সহবাস বা পুং মৈথুন অর্থাৎ হস্তমৈথুনের মাধ্যমে বীর্যপাত না ঘটিয়ে নিজের প্রিয় কোন ছেলের সাথে স্বীয় যৌন চহিদা পূরণ করাকে সমমৈথুন বা সমকামিতা বলে। এই বদ অভ্যাসের মাধ্যমে একজন ছেলে নিজের অজান্তেই সেচ্ছায় সমস্ত সৃষ্টিজীবের অভিশাপ তার নিজের গায়ে জড়িয়ে নেয়। নাউযুবিল্লাহি মিং যালিক। এ বদ অভ্যাসটি বড়ই অপমানজনক, ঘৃণিত ও হীনমন্য কাজ। এর চেয়ে বড় ক্ষতিকর আর কোনো কাজ হতে পারে না। সমকামিতা এমনই মারাত্মক ঘৃণিত বদ অভ্যাস- যা অন্যান্য ঘৃণিত অভ্যাস যেমন- যিনা-ব্যভিচার, হস্তমৈথুন ইত্যাদি মারাত্মক গুণাহ থেকেও মারাত্মক ভয়াবহ গুণাহের কাজ। যৌনাঙ্গে এ কাজের প্রতিক্রিয়া খুব বেশী প্রভাব বিস্তার করে। যৌনাঙ্গের শিরা একেবারেই ঢিলা হয়ে যায়। এমনকি এ জঘন্য কাজ করার সময় অনেক সময় রগ ছিড়ে যায় । এরূপ ঘটনা কারো জীবনে ঘটলে সে আর কখনও বিবাহ করে স্ত্রীকে যৌনস্বাদ দিতে পারবে না। বরং তার কাছে নারীদের আলাপআলোচনা বিরক্তিকর মনে হবে। তার সামনে মহিলাদের বিষয়ে আলোচনা করলে মনে হবে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। 


একটি সত্য ঘটনাঃ- 

ভারতীয় অভিজ্ঞ হাকিম কবিরাজ আল্লামা মুফতী আশরাফ আমরহবী দাঃ বাঃ বলেন- "জনৈক ব্যক্তি আমার নিকট পুরুষদের দীর্ঘ একটি নামের তালিকা দিয়ে বললেন, হজরত! মেহেরবানি করে এ নামগুলো পাঠ করুন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম এগুলো কি ও কেন? জবাবে সে বললো - আমি এই ৯৮ জন ছেলের সাথে সহবাস করেছি। যার ফলে বর্তমানে আমার অবস্থা এই দাঁড়িয়েছে যে, আমার চোখ থেকে পানি বের হয় না। বরং রক্ত বের হয়। রাতে সামান্য সময়ের জন্যও ঘুমাতে পারি না। সারারাত নির্ঘুম থাকি। আমার বন্ধু বান্ধবদের সংসারে দু তিনি করে সন্তান। কিন্তু আমার এখনো বিবাহই হলো না। আমি এ পর্যন্ত 14 জন ডাক্তার ও হাকিম দেখিয়েছি। ভুরিভুরি টাকাও খরচ করেছি। কিন্তু কোন উপকৃত হতে পারি নি। এখন যদি আপনার পরামর্শও বৃথা যায়, তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো রাস্তা থাকবে না। এ জীবন নিয়ে জীবিত থাকার চেয়ে মৃত্যুবরণ করাও অনেক শ্রেয়!" পুরুষ যদি নারীদের সাথে যিনা বা সহবাস করে, তাহলে গুনাহগার হবে। কিন্তু একনিষ্ঠ মনে লজ্জিত হয়ে তওবা করলে আল্লাহ ত'য়ালা রহমানুর রহীম গাফফারুর রহীম নামের উসিলায় তাকে মাফ করে দিবেন। স্বীয় পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। পক্ষান্তরে পুরুষে পুরুষে যিনা করলে যৌনাঙ্গ একেবারে বরবাদ হয়ে যাবে। যা তওবা করার দ্বারা পূর্বাবস্থায় ফিরে আনা অসম্ভব। এ ঘৃণিত অভিশপ্ত লাঞ্ছিত বদ অভ্যাসের ক্ষতিকর দিকগুলো লিখে শেষ করা যাবে না। এ বদ অভ্যাসেরও চিকিৎসা রয়েছে। তবে অনেক কষ্টকর। অনেক অভিজ্ঞ হাকিম দ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে।


 সংক্ষিপ্তাকারে হস্তমৈথুন ও সমকামিতার চিকিৎসা একসাথেঃ- 

যখন হস্তমৈথুন ও সমকামিতা নামক নামক রোগে আক্রান্ত হয়ে এ জঘন্য অভ্যাসে জীবন গড়ে উঠবে সে মুহুর্তে রোগীর প্রয়োজন হলো- সমস্ত লজ্জার কথা ভুলে গিয়ে অবশ্যই অভিজ্ঞ হাকিম বা ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তাঁকে সবকিছু খুলে বলতে হবে। কোনোকিছুই লুকানো যাবে না । এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো হয় খোদাভীরু, আল্লাহওয়ালা ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া। রোগী যেহেতু নিজের সুস্থতার জন্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছেন সেহেতু তার একান্ত কর্তব্য হলো ডাক্তারের পরামর্শ ও নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা । রোগী এ সময়- 

১/ সমস্ত নির্জনতা ও একাকিত্ব সম্পূর্ণরূপে পরিহার করবে। 

২/ দাড়ি বিহীন সুন্দর বালকদের দিকে তাকাবে না। কঠোরভাবে তাদের সঙ্গ এড়িয়ে চলবে। 

৩/ শুনতে হাস্যকর শোনালেও নিজের সংশোধনের উদ্দেশ্যে দাড়ি বিহীন সুন্দর বালকদের সাথে নারীদের মতোই পর্দা করে চলবে। তাদের সাথে কথা বলবে না, তাদের কথা শুনবে না, এমনকি তাকাবেও না। 

৪/ এ রোগ কঠিন আকারে থাকলে দাড়ি বিহীন হোক বা পূর্ণাঙ্গ বয়সের পুরুষ হোক, কোন পুরুষের সাথে দিনে হোক বা রাতে হোক নির্জনবাস করবে না, রাতে একসাথে এক বিছানায় কখনই ঘুমাবে না। 

৫/ খোদাভীরু আল্লাহওয়ালা ও সৎ লোকদের জীবনী ও কাহিনি বেশী বেশী করে পাঠ করবে। তাঁদের লেখা বইপুস্তক পড়বে।

 ৬/ অশ্লীল, নেকেড ফিল্ম, গল্প, নাটক, উপন্যাসের বইপত্র পড়বে না। 

৭/ এসব ভিডিও দেখবে না। 

৮/ এসবের কল্পনাও অন্তরে ঠাঁই দিবে না। কঠোরভাবে, শক্তভাবে নিজেকে এ থেকে বিরত রাখতে হবে। 

রোগী যেন এ কাজ পুনরায় না করে, সেদিকে ডাক্তারকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। রোগীও সমকামিতার কুফল সম্পর্কে পরিপূর্ণরূপে জানতে হবে এবং সে অনুপাতে ভবিষ্যৎ জীবন পরিচালনা করতে হবে। 

ডাক্তারের উচিত হলো- চিকিৎসার প্রথম অবস্থাতেই যৌন উত্তেজক উপায় উপকরণ রোগীর জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে। প্রথমেই যৌন উত্তেজক কোনো ঔষধ না দিয়ে প্রথমে রোগীর যৌনাঙ্গে ক্ষত, চুলকানি বিশেষ সৃষ্টিকারী ঔষধ দিবে। যেন রোগী এই বদ অভ্যাস থেকে বিরত থাকে। রোগীও ডাক্তারের এই নির্দেশনাগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলবে। 

৯/ রোগী নিজেও এ সময় যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিকারী খাবারও খাবে না। যেমন- গোশত, ডিম, মাছ, মোরগ ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে। 

১০/ অতিরিক্ত মশলাও খাবে না। বরং সাধাসিধা খাবার গ্রহণ করবে। 

১১/ মরিচ থেকেও বিরত থাকবে। 

১২/ শাক-সবজি খাবে। 

১৩/ নিজের ইচ্ছা ও মনোবাসনা পূরণ করা থেকে নিজেকে কঠোরভাবে বাঁচিয়ে রাখবে। 

১৪/ এগুলোর সাথেসাথে হৃদপিণ্ড শক্তিশালীকারী খাবার খাবে। 

১৫/ প্রয়োজনে যৌনস্পৃহা কমানোর ঔষধ খাবে। 

১৬/ প্রবল উত্তেজনা দেখা দিলে অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগরুক রেখে বাথরুমে গিয়ে লিঙ্গে উপর্যুপরি পানি ঢালবে। এতে লিঙ্গ নিস্তেজ হয়ে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে ইংশা আল্লাহ্। 


সতর্কতাঃ- এ সময় যৌনাঙ্গ সুস্থ করার জন্য যৌনাঙ্গে মালিশযোগ্য ঔষধ হাকিম সাহেবের পরামর্শ অনুযায়ী মালিশ করবে। প্রবল উত্তেজনা দেখা দিলে যৌনাঙ্গে মালিশ বন্ধ রাখবে। 


মহান আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে অভিশপ্ত এ কঠিন ব্যধি থেকে নিরাপদ রাখুন, মুক্ত রাখুন, সুস্থ রাখুন ও পরিপূর্ণ হেদায়েত ও একনিষ্ঠ তওবার তাওফিক দান করুন আমীন ইয়া আরহামার রাহিমীন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ