শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনার উত্তরটি পাবেন এখানে https://bn.m.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম; ২০১৭ সালে এর সম্ভাব্য মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন হবে ২.৬০ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার । বিশ্ব ব্যাংকের করা নতুন হিসাব অনুযায়ী মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। ভারতের বিশ্বের প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম; ২০১৬-১৭অর্থবছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৭.৬% । কিন্তু ভারতের বিরাট জনসংখ্যার কারণে মাথাপিছু আয় মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে মাত্র ৭৮২৪ মার্কিন ডলার এবং আর্থিক ভিত্তিতে ১৮৫২ ডলার । সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক ভারতের অর্থনীতিকে একটি নতুন উন্নত অর্থনীতি হিসেবে শ্রেণীকরণ করেছে । সোর্সঃ ইংরেজি উইকিপিডিয়া
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Md Ashif

Call

ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের দ্বাদশ বৃহত্তম; ২০০৭ সালে এর মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ছিল ১.০৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।[১] বিশ্ব ব্যাংকের করা নতুন হিসাব অনুযায়ী মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম।[২] ভারতের বিশ্বের প্রবৃদ্ধিশীল অর্থনীতিগুলির মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম; ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হার ছিল ৯.৪%।[৩] কিন্তু ভারতের বিরাট জনসংখ্যার কারণে মাথাপিছু আয় মুদ্রার ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে মাত্র ৪,১৮২ মার্কিন ডলার এবং আর্থিক ভিত্তিতে মাত্র ৯৬৪ ডলার (২০০৭ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী)।[৪] [৫] বিশ্ব ব্যাংক ভারতের অর্থনীতিকে একটি স্বল্প-আয়ের অর্থনীতি হিসেবে শ্রেণীকরণ করেছে। [৬][৭]

ভারতের অর্থনীতি বৈচিত্র্যময়। কৃষিকাজ, হস্তশিল্প, বস্ত্রশিল্প, উৎপাদন, এবং বিভিন্ন সেবা ভারতের অর্থনীতির অংশ। ভারতের শ্রমশক্তির দুই-তৃতীয়াংশ প্রত্যক্ষভাবে কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষিখাত থেকে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। তবে সেবাখাত ক্রমেই প্রসার লাভ করছে এবং ভারতের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। ডিজিটাল যুগের আবির্ভাবের পর ইংরেজিতে সাবলীলভাবে কথা বলতে পারদর্শী তরুণ ও শিক্ষিত লোকের সহজলভ্যতাকে কাজে লাগিয়ে ভারত আউটসোর্সিং, ক্রেতা সেবা ও কারিগরি সহায়তা দানের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। ভারত সফটওয়্যার ও আর্থিক সেবার ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে অতি-দক্ষ শ্রমিক সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া উৎপাদনওষুধ শিল্প,জীবপ্রযুক্তিন্যানোপ্রযুক্তিটেলিযোগাযোগজাহাজ নির্মাণবিমানভ্রমণ এবং পর্যটন শিল্পগুলিতেও ভবিষ্যতে জোরালো প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।

স্বাধীনতা লাভের পর ইতিহাসের অধিকাংশ সময় জুড়ে ভারত সমাজবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে অর্থনীতি চালানোর চেষ্টা করে। তখন অর্থনীতিতে বেসরকারী খাতের অংশগ্রহণ, বৈদেশিক বাণিজ্য এবং সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের উপর সরকারের কঠোর নিয়ন্ত্রণ ছিল। তবে ১৯৯০-এর দশকের শুরু থেকে ভারত ক্রমে উদারপন্থী অর্থনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে তার বাজারগুলি উন্মুত করতে শুরু করে। সরকারী শিল্পগুলির বেসরকারীকরণ বেশ ধীরে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে।

দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা ভারতের একটি প্রধান সমস্যা এবং এটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক সমতা অর্জনের জন্য একটি বড় বাধা। দারিদ্র্য এখনও একটি প্রকট সমস্যা, তবে স্বাধীনতার পর দারিদ্র্যের পরিমাণ অনেক হ্রাস পেয়েছে। সরকারী হিসাব মতে ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে ২৭% ভারতীয় দরিদ্র ছিলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ