হাত-পা ঘামার সুনির্দিষ্ট
কারণ এখনো বের করা যায়নি। তবে বংশগতভাবে এ রোগ থাকা,
শারীরিক কিছু সমস্যা, শরীরের
ভেতরের ভারসাম্যহীনতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে।
এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে
ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে।
চিকিৎসা সঠিক কারণ বের না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। আগে অনুসন্ধান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজতে হবে। তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে।
অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত
একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়।
তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই
করা হোক না কেন, এর আগে
অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
নিতে হবে।