Call

বিদায়ী মান পত্র। হে বিদায়ী বন্ধুরা, ‘ভুবনের ঘাটে ঘাটে এক ঘাটে লও বোঝা, শূণ্য করে দাও অন্য ঘাটে।’ যে পথ একদিন তোমাদের নিয়ে এসেছিল এই কলেজের অঙ্গনে সে পথই তোমাদের দিয়েছে ডাক। একদিকে চলা নেশা আর একদিকে পিছুটান! বেহাগ রাগিণীতে বাজছে বিদায়ের সুর। সে সুর এখন মূর্চ্ছিত হচ্ছে এই কলেজের অঙ্গনে, মূর্চ্ছিত হচ্ছে প্রতিটি প্রাণ। হে অমোঘ পথের যাত্রী, এই কলেজে তোমাদের কেটেছে স্মৃতিমধুর প্রীতিম অনেক দিন। নিরলস শ্রম, কঠ অধ্যবসায় ও আন্তরিক আগ্রহ নিজেদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ার সাধনায় তোমরা ছিলে সচেষ্ট। সৃষ্টিলগ্ন থেকে শুরু হয়েছে বিদায় দেওয়া-নেওয়ার মর্মস্পর্শী রেওয়াজ। কবির ভাষায় তাইতো হৃদয়ের অনুভূতি- যেতে নাহি দিব হায় – তবু যেতে দিতে হয়, তবু চলে যায়। কিন্তু অবুঝ মন তো বুঝতে চায়না। শুধু বলে – মায়ার বাধনে কেন জড়ালে ছেড়ে যদি যাবে হায়। হে পথের দিশারি, তোমরা ‘অরুণ প্রাতের তরুণ দ তোমরা জাতির ভবিষ্যৎ আর আমাদের দিক নির্দেশক। তোমরা ছিলে আমাদের আলোর পথের দিশারি। তোমাদের পরশে জীবন আমাদের হয়েছে সরস ও উর্বর নবজীবনের আহ্বানে, আলোকিত জীবনের সন্ধানে তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ নবদিগন্তের পাণে। জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্ অন্ধকার ঘুচিয়ে তোমরাই একদিন গড়ে তুলবে একটি সুখ সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ। তোমরাই আনবে সোনালি রবির আলোকিত দিন। হে মুক্তির অগ্রদূত, তোমরা আমাদের নতুন দেশের এক ঝাঁক সোনার সন্তান। তোমাদের মনে রাখতে হবে,’স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।’ কবির ভাষায়, ‘অজস্র মৃত্যুরে লঙ্ঘি হে নবীন,চলো অনায়াসে, মৃত্যুজয়ী জীবন উল্লাসে।’ হে আজকের প্রত্যাশা, জীবনকে বিকশিত করার অদ প্রয়াসকে সামনে রেখেই তোমাদের পদচারণা শুরু হয়েছিল।শত আকাঙ্ক্ষার সিঁড়ি বেয়ে তোমরা আজ শ প্রান্তে উপনীত ।তাইতো অনুরোধ অন্যায় -অবিচার, জুলু নির্যাতনের বিরুদ্ধে তোমর থাকবে প্রথম কাতারের সেনা। তোমাদের নতুন যাত্রাপথ ন নতুন সাফল্যে ভরে উঠুক। দেশ জাতির ঐতিহ্যগর্ব ইতিহাস হোক তোমাদের একমাত্র সাধনা। তারিখ : নিবেদক- ছাত্রছাত্রীবৃন্দ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

Call


প্রথমেই বলে নেওয়া প্রয়োজন যে, যারা বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রী/পরীক্ষার্থী তারা মানপত্র পাঠ/প্রদান করে না। তারা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিচারণ করে বিদায়ী বক্তব্য প্রদান করে। আর ছোট ভাই-বোনেরা ( নিচের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা) বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রী/পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ/প্রদান করে। এখানে একটি মানপত্র লিখে দেওয়া হলোঃ


"ক" উচ্চবিদ্যালয়ের ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাই-বোনদের বিদায় উপলক্ষ্যে

                                    "বিদায় সংবর্ধনা"


হে বিদায়ী ভাই-বোনেরা,

আজ আমাদের জীবনের এ মধুময় লগ্নে তোমরা এলে বিদায় নিতে। তোমাদের বিদায় বার্তায় ছিঁড়ে যাচ্ছে আমাদের হৃদয়বীণার তারগুলো। আমাদের ব্যথিত মর্মবীণায় বেসুরো হয়ে বেজে উঠছে প্রিয়হারা বেদনার এক করুণ রাগিনী। সেই রাগিনীর সুর যেন বলছে, 'ভুবনের ঘাটে ঘাটে, এক ঘাটে লও বোঝা শূন্য করে দাও অন্য ঘাটে।' শুভ হোক তোমাদের ভবিষ্যৎ। তোমরা আমাদের প্রীতি গ্রহণ কর।


হে বিদায়ী অগ্রজ বন্ধুরা,

তোমাদের প্রানোচ্ছল পদভারে এই বিদ্যাপিঠের আঙিনা ছিল মুখরিত। তোমরা ভুলে যেও না ফেলে আসা স্মৃতিময় দিনগুলো। প্রিয় শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও অবদানের কথা তোমাদের মনে থাকুক অমলিন। বিষণ্ন নয়নে আজ শুধু বলি-

                            "এ অনন্ত চরাচর, স্বর্গ মর্ত্য ছেয়ে

                   সবচেয়ে পুরাতন কথা,  সবচেয়ে গভীর ক্রন্দন

                        যেতে নাহি দিব হায়, তবু যেতে দিতে হয়

                                         তবু চলে যায়।"


হে উদ্যমী পথিক,

তোমাদের বিদায় ব্যথায় আমরা ব্যথিত বটে, কিন্তু অমঙ্গলের অশ্রু ঝরিয়ে শুভ যাত্রাপথকে আমরা অশুভ করতে চাই না। প্রকৃতির অমোঘ বিধান মেনে নিয়ে তোমাদেরকে জানাই সাদর বিদায় সম্ভাষণ। শুধু এ আশা আমাদের- নবজীবনের গান গেয়ে তোমরা জীবনে সৃষ্টি করবে নতন ভুবন। তাইতো কবির ভাষায় হৃদয়ের অনুভূতিতে বেজে ওঠে-

               তোমরা চলেছো সুন্দরের পানে খুলিয়া বাতায়ন

               জ্ঞান সাগরে খুঁজিয়া পাইতে জীবনের জাগরণ।


হে আলোর পথের যাত্রীরা,

নবজীবনের আহ্বানে, আলোকিত জীবনের সন্ধানে তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ নবদিগন্তের দিকে। দেশ ও জাতির ভাগ্য বিধাতা তোমরা। জাতি আজ প্রত্যাশা করে দুঃখ, দারিদ্য, অন্ধকার ঘুচিয়ে তোমরা গড়ে তুলবে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। তাইতো মনের মাঝে আবারও নাড়া দিয়ে ওঠে-

                   হও সার্থক হে যাত্রী সামনে এগিয়ে চলো

            আঁধার কেটেছে, সূর্য উঠেছে চারপাশে দেখ আলো।

তোমাদের পদচারণায় সৃষ্টি হবে নতুন পথ। তোমরা বয়ে আনবে এক আলোক উজ্জ্বল সোনালি প্রভাত।

পরিশেষে পরম স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, সাফল্যে ও ঔজ্জ্বল্যে তোমাদের জীবন যেন হয় জ্যোতির্ময়। তোমাদের ঐকান্তিক প্রয়াসে সমৃদ্ধ হোক দেশ ও জাতি।

তারিখঃ ২৫/০১/২০১৭ ইং

                                                            তোমাদের স্নেহমুগ্ধ

                                                            ছোট ভাই-বোনেরা

                                                            "ক" উচ্চবিদ্যালয়


* এখানে মানপত্র যেদিন পাঠ/প্রদান করা হবে সেদিনের তারিখ এবং "ক" বিদ্যালয়ের স্থানে নিজ বিদ্যালয়ের নাম দিতে হবে। এছাড়াও মানপত্রে সংযোজন, বিয়োজন, পরিবর্তন, সংশোধন করা যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ