কি কাজ করলে মানুষের কাছ থেকে সম্মান লাভ করা যায়।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

আল্লাহ তাআলা বান্দাকে তাঁর সুন্দর সুন্দর নামের জিকির বা আমল করার কথা বলেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে আলাদা আলাদাভাবে এ নামের জিকিরের আমল ঘোষণা করেছেন। আল্লাহ তাআলার গুণবাচক নামসমূহের মধ্যে (اَلْمُعِزُّ) ‘আল-মুই’য্যু’ একটি। যার অর্থ হলো- ‘মযাদা ও সম্মান প্রদানকারী।’


সংক্ষেপে এ গুণবাচক নাম (اَلْمُعِزُّ) ‘আল-মুই’য্যু’ -এর জিকিরের আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-


উচ্চারণ : ‘আল-মুই’য্যু’

অর্থ : ‘মর্যাদা ও সম্মান প্রদানকারী।’


আল্লাহর গুণবাচক নাম (اَلرَّافِعُ)-এর আমল


ফজিলত

যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার এ পবিত্র গুণবাচক নামটি সোমবার অথবা জুমআর রাতে ১৪০ বার পাঠ করে তবে মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টি হয় এবং ওই ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো ভয়ে পরীক্ষিত হয় না।


যে ব্যক্তি নিজের মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চায় এবং সকলের সম্মানের ব্যক্তি হতে চায় সে যেন প্রতিদিন ৪১ বার আল্লাহ তাআলার পবিত্র গুণবাচক (اَلْمُعِزُّ) ‘আল-মুই’য্যু’-এর জিকির করে।


অন্যত্র এসেছে, ‘যে ব্যক্তি এ পবিত্র গুণবাচক (اَلْمُعِزُّ) ‘আল-মুই’য্যু’ নামের তাসবিহ প্রত্যেক সোমবার ও শুক্রবার নামাজের পর আদায় করবে ওই ব্যক্তি প্রভাব ও সম্মানের অধিকারী হবে।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ গুণবাচক নামের তাসবিহ আদায়ের মাধ্যমে দুনিয়ার মুখাপেক্ষিতা হতে মুক্ত থেকে আত্ম-সম্মান লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন। 

এইটা সুধু মুসলিম দের জন্য। সব থেকে বড় কথা হল আপনি অন্যকে উপকার করেন, সঠিক কাজ করেন,সুন্দর করে কথা বলেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সম্মান আদায় করতে হলে কিছু মূল্যও দিতে হয়। সবার আগে অন্যকে সম্মান করতে হয়, মানুষের সাথে আত্নবিশ্বাসের সাথে ব্যবহার করতে হয় এবং মানুষের কাছে বিশ্বস্ত হবার চেষ্টা থাকতে হয়।

১. নিজেকে সম্মান করুন- যে নিজেকে সম্মান করতে পারে না, সে অন্যকেও সম্মান করতে পারে না। তাই আগে নিজেকে সম্মান করুন।

২. পাওয়ার চেয়ে বেশী দিন- আপনি কারো কাছে সম্মান পাওয়ার আশা না করে, আগে অন্যকে সম্মান করুন এবং প্রতিনিয়ত আপনি যতটুকু পান তার চাইতে বেশী অন্যকে সম্মান করার চেষ্টা করুন।

৩. আপনার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করুন- প্রতিজ্ঞা করে তা যদি রক্ষা করতে না পারেন তাহলে আপনি কারো কাছে সম্মান পাবেন না, তাই কারো কাছে কোন প্রতিজ্ঞা করলে তা রাখার চেষ্টা করুন।

৪. সম্মানিত হবার জন্যে নিজেকে তৈরি করুন- দয়ালু হোন,অন্যকে উৎসাহিত করুন, সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিন, অন্যের কোন ক্ষতি করবেন না এবং যে কোন কথা বলার আগে ভেবে বলবেন।

৫. আপনার নিরাপদ স্থান থেকে বের হোন- মানুষ তাকেই সম্মান করে যে চ্যালেঞ্জ নিতে জানে এবং ঝুকিঁ সম্মুখীন হতে পারে।তাই অন্যের সামনে দৃষ্টান্ত হোন, যে জীবনের চ্যালেঞ্জ আপনি নিতে পারেন।

৬. কথার সততা বজায় রাখুন কিন্তু কৌশলী হোন- যা বলবেন সত্য বলবেন,মিথ্যা বলে অন্যের কাছে নিজের মূল্য বাড়ানোর চেষ্টা করবেন না, এতে বরং হিতে বিপরীত হতে পারে। আবার এমন সত্য বলার চেষ্টা করবেন না যা অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। সেক্ষেত্রে সত্য বলবেন কিন্তু কৌশুলী হবেন যেন অন্যের ক্ষতি না হয়।

৭. পজিটিভ হোন- সবকিছুতে পজিটিভ হোন, জীবন সম্পর্কে, মানুষ সর্ম্পকে, আপনার সামর্থ্য সর্ম্পকে।

৮. উৎসাহিত করুন- অন্যের ভালা কাজে হিংসা না করে, তাকে আরো ভালো করার জন্যে উদ্বুদ্ধ করুন এবং উৎসাহ দিন।

৯. সরি বলতে শিখুন- আপনার কোন ভুলের জন্যে দুঃখ প্রকাশ করলে আপনি অন্যের কাছে ছোট হবেন না, তাই অন্যের ভুলের জন্যে যেমন আপনি সরি আশা করেন তেমনি আপনার ভুল হলেও অন্য মানুষ তাই আশা করে।

১০. না বলতে শিখুন- সঠিক বিষয় কে হ্যা এবং ভুল কিছুকে না বলতে পারা আপনার মানসিক দৃঢ়তার পরিচয় দেয়, যা অন্যের কাছে আপনার সম্মান বাড়াবে।

১১. অন্যকে যা বলেন তা নিজের ক্ষেত্রেও মেনে চলুন- অন্যকে বলবেন ওটা করা অন্যায় কিন্তু নিজে করবেন তাহলে আপনি অন্যের কাছে কিভাবে নিজের জন্য সম্মান পাবেন।

১২. দায়িত্ব নিন- ব্যক্তিগত জীবনে হোক অথবা প্রফেশনাল ক্ষেত্রেই হোক দায়িত্ব নিন। সব কিছু অন্যের উপর চাপিয়ে দিয়ে নিজে ঝামেলা থেকে বেঁচে থেকে আপনি অন্যের সম্মান আদায় করতে পারবেন না কিছুতেই।

১৩. পোষাক নির্বাচনে সর্তক থাকুন- আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে যায় তাই পরুন, আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে যায় না এমন কোন পোষাক পরবেন না।

১৪. সব আচরণ সবার সাথে করবেন না- সব আচরণ সবার সাথে করার চেষ্টা করবেন না, ভিন্ন ভিন্ন মানুষ ভিন্ন ভিন্ন রুচিবোধ সম্পন্ন হয়, তাই আপনি যদি সবার সাথে একই আচরণ করতে চান তা অন্যের কাছে আপনার গ্রহনযোগ্যতা নষ্ট করবে।

১৫. অন্যের বদনাম করবেন না- কারো কাছে অন্যের বদনাম করবেন না, বদনাম করা মানুষকে কেউ পছন্দ করে না।

১৬. প্লিজ এবং ধন্যবাদ শব্দ দুটো ব্যবহার করুন- এই দুটি শব্দ ম্যাজিক ওয়ার্ড। আপনার কথায় এই শব্দ দুটোর যথাযথ প্রয়োগ অন্যের কাছে আপনাকে অমায়িক হিসেবে তুলে ধরবে এবং আপনার গ্রহনযোগ্যতা আরো বাড়াবে।

আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন অন্য মানুষ আপনাকে কেন সম্মান করবে, তারপর নিজেকে সম্মানিত হবার জন্যে তৈরি করুন, তাহলেই আপনি সম্মান পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ