এটি ছত্রাতজনিত চর্মরোগ যা শতভাগই নিরাময়যোগ্য। খুব বেশি খরচও হয় না। প্রাথমিকভাবে, অল্প জায়গায়, অল্প রোগের চিকিৎসায় ছত্রাকবিরোধী কিছু মলম আছে। শুধু মলম দিলেই 15/30 দিনে সমাধান হয়ে যায়, দিন দুইবার করে মলম ব্যবহার করতে হয়। প্রাথমিক অবস্থায় চিকিত্সা না নিলে অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাদের শুধু মলমে আরোগ্য না হয় তাদের কে মুখে খাওয়ার ঔষধ ও খেতে হয়। একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
এছাড়াও ছুলির সমস্যায় ২ শতাংশ কিটোকোনাজল শ্যাম্পু গোসলের ৫ মিনিট আগে ফেনা করে সারা শরীরে মেখে ৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। পরপর পাঁচ দিন ব্যবহার করুন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘ছুলি’, ‘ছইদ’ বা ‘কদম’ ইত্যাদি নানা নামে পরিচিত চর্মরোগটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয় টিনিয়া ভারসিকল। এটি এক প্রকার ছত্রাকের সংক্রমণ। এ রোগে ঘাড়ে, বুকে, পিঠে ও শরীরের অন্যান্য উন্মুক্ত অংশে সাদা বা বাদামি গাঢ় বা হালকা ছোট ছোট দাগের মতো হয়।
স্যাঁতসেঁতে ও গরম আবহাওয়ায় এ ছত্রাকের আক্রমণ বেশি হয়। দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে গেলে, স্টেরয়েড ট্যাবলেট সেবনেও ছুলি হতে পারে। অনেকে যেখানে একত্রে থাকে, জিনিসপত্র ব্যবহার করে, সেখানে এই ছত্রাকের সংক্রমণ দ্রুত ছড়ায়। যেমন: মেস, ব্যারাকে, ডরমিটরি, হোস্টেল ইত্যাদিতে। এক পরিবারের একজনের ছুলি হলে অন্য সদস্যরাও আক্রান্ত হতে পারে।
সাধারণত ত্বকের দাগগুলো ভালো করে দেখেই রোগ নির্ণয় করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খেলে এই রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়।
রোগের আক্রমণ এড়াতে কী করবেন?
স্যাঁতসেঁতে আর্দ্র আবহাওয়ায় যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন থাকুন।
শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয় সেসব স্থান বারবার ধুয়ে পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন। গরমের দিন রোজ একবার বা দুবার গোসল করুন। ঘামে ভেজা পোশাক পাল্টে ফেলুন ও না ধুয়ে আর ব্যবহার করবেন না।
অন্যের ব্যবহূত তোয়ালে, রুমাল ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
একাধিক ব্যক্তি কখনো একই ক্ষুরে মাথা বা দাঁড়ি কামাবেন না। চর্ম বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।