ছুলি বা বাদামী দাগ দূরীকরণে লেবুর রস অত্যন্ত কার্যকরী। লেবুর রসে চামড়ার রঙ হালকা করার উপাদান আছে যা ত্বকের গাঢ় দাগ দূর করে ব্লিচের মাদ্ধমে। লেবুর রস চিপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ভালো ভাবে ম্যাসাজ করুন। ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুইবার এটি করুন। আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে লেবুর স্ক্রাব। একটি লেবুর অর্ধেকটা অংশ কেটে নিয়ে তার উপর আধা চামচ চিনি ছিটিয়ে নিন। তারপর এটি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে এক বা দুই সপ্তাহ নিয়মিত করুন।
ছুলির কারন: ছুলি হল ক্রনিক স্কিন ডিসওর্ডার। অনেক সময় একে মাইল্ড একজিমা মনে করা হয় । ছুলির সঠিক কারণ এখানেো জানা যায়নি। তবে যেসমস্ত কারণকে ছুলির জন্য দায়ী মনে করা সেগুলো নিম্নে দেয়া হল:- হাইপো পিগমেন্টেশন ছুলির প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম। পরিবারের ইতিহাস অর্থাৎ পরিবারের কারো ছুলি থাকলে অন্যদের হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সূর্যের আলো বা রশ্নির কারনেও এ রোগ হতে পারে। ত্বক শুষ্ক হলে এবং ত্বকে র্যাশের কারনেও ছুলি হতে পারে। এটোপিক একজিমার (Atopic eczema) কারনেও ছুলি হতে পারে। এ্যাজমা এবং এলার্জি ছুলির অন্যতম আরেকটি কারণ। ত্বকের শুষ্কতা, চুলকানি এবং বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার কারনে ঠিকমত রঞ্জক পদার্থ উৎপন্ন হতে পারে না, ফলে ত্বকের বিভিন্ন জায়গাতে রঙ হলকা হয়ে যায় যা ছুলি আকারে দেখা দেয়। -ছুলির আধুনিক চিকিৎসা ছুলি সাধারণত কয়েক মাস থেকে বছর পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং একাই সেরে যায়। এটি ক্ষতিকারক নয় এবং সংক্রামকও নয় সুতরাং এ থেকে ভয়ের কিছু নেই। এটি ত্বকের রঞ্জকের অভাবের ফল। যেহেতু মুখেই বেশিরভাগ সময় এরোগ দেখা যায় তাই এর যেসব চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। কারন মুখ এরকম দাগ দেখতে খারাপ লাগে। বর্তমানে ছুলির যেসব চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় নিম্নে তা দেয়া হল :- -হাইড্রোকটিসন ক্রিম (Hydroocortisone cream) ছুলির ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করে। জিটোন ক্রিম (Zetone cream) যাতে আছে ০.৫% হাইড্রোকটিসন এবং ১% ক্রড কোল টার (Crude coal tar) যা ছুলি নিরাময়ে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। প্রাগমেটার অয়েন্টমেন্ট (Pragmatar ointment), ল্যাক- হাইড্রিক (Lac-Hydrin), ২%জিটার (Zetar) মিশ্রিত কোরডান ক্রিমের (Cordran cream) ব্যবহারে ভাল ফল পাওয়া যায়। যদি দাগ লাল হয় এবং চুলকানি থাকে তাহলে স্টেরয়েড ক্রিম (steroid cream) ব্যবহারের উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও চিকিৎসা চলাকালীন মসয় কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন- লোশন বা ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বকে শুষ্ক হয়ে না যায়। সূর্যরশ্নি এড়িয়ে চলতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে ছাতা, সানগ্লাস এবং সান্সক্রিম লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার বর্জন করতে হবে। প্রচুর পানি খেতে হবে যাতে লোপকূপের ছিদ্রগুলো পরিষ্কার থাকে। প্রচুর পরিমাণে তাজা শাকসবজি ও ফলমূল খেতে হবে। -ছুলির হারবাল চিকিৎসা প্রকৃতিতে কিছু গাছ-পাতা আছে যেগুলো নিজস্ব গুনের জন্য সুপরিচিত। এরকম কিছু ভেষজ আছে যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে ছুলি নিয়ন্ত্রণে যে ভেষজগুলো ব্যবহৃত হয় নিম্নে তা বর্ণনা করা হল:- দাদ মর্দন (Cassia alate) পাতার রস প্রতদিন ৩-৪ বার লাগালে ছুলিতে উপকার পাওয়া যায় । লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার লাগাতে হবে এবং ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরকম কিছুদিন ব্যবহার করলে ছুলি চলে যায়। টক দধির সাথে নিমপাতার রস মিশিয়ে বা মেহেদী পাতার রস মিসিয়ে ব্যবহার করলে ছুলি নিরাময় হয়। সোহাগা, কালো তিলের তেল এবং সাদা ধূপ এই তিনের মিশ্রণ ছুলিতে লাগালে ছুলির দাগ দূর হয়। (তথ্যসূত্র:ইন্টারনেট)
একটি বড় ও পাকা টমেটো নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর এটিকে ভালো করে ম্যাশ করে নিয়ে ছুলিতে আক্রান্ত স্থানে লাগান। হাতের তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন যেনো রোমকূপ দিয়ে রস ভালোভাবে প্রবেশ করে। ১৫-২০ মিনিট এভাবে রেখে দিন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারের কয়েক ঘণ্টা পর পর্যন্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। দুই সপ্তাহ যাবত দিনে দুই বার এটি ব্যবহার করুন। দুই সপ্তাহ পরে আপনার ছুলি অনেকটাই হালকা হয়ে আসবে এবং আপনার ত্বক উজ্জল ও টানটান হবে।
লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে দিনে ২ বার লাগাতে হবে এবং ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরকম কিছুদিন ব্যবহার করলে ছুলি চলে যায়।
টক দধির সাথে নিমপাতার রস মিশিয়ে বা মেহেদী পাতার রস মিসিয়ে ব্যবহার করলে ছুলি নিরাময় হয়।
সোহাগা, কালো তিলের তেল এবং সাদা ধূপ এই তিনের মিশ্রণ ছুলিতে লাগালে ছুলির দাগ দূর হয়