শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

পীর একটি ফার্সী শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ বয়স্ক, বৃদ্ধ। আরবী ভাষায় যার প্রতিশব্দ হলো শাইখ। এ দৃষ্টিকোণ থেকে আদম আ.ই হলেন প্রথম পীর। কারণ তাঁর পূর্বে কেউ বৃদ্ধ হয় নি। তবে আমাদের উপমহাদেশীয় পরিভাষায় পীর বলা হয় যিনি মানুষকে সৎ পথ দেখান। মানুষ যাঁর নিকট গিয়ে সঠিক পথের দিশা পায়। নবী আ.গণ এ কাজটি করতেন। এ দৃষ্টিকোণ থেকে প্রথম নবী আ.ই প্রথম পীর। অর্থাৎ আদম আ. হলেন প্রথম পীর। যদিও নবীদের নামের সাথে পীর শব্দের সংযোজন উচিত নয়। উল্লেখ্য, পীর ধরার অর্থ হলো, দীনী বিষয়ে জানা শোনার জন্য, আমলের পথে উন্নতি ও অগ্রগতি লাভের জন্য এবং আত্মার ব্যধি থেকে আরোগ্য লাভের জন্য একজন শিক্ষক ও পথনির্দেশকের দারস্ত হওয়া। আর দীনী বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করা ফরজ পর্যায়ের আবশ্যকীয় বিধান। তেমনিভাবে পরকালীন মুক্তি লাভের জন্য আমলের পথে উন্নতি ও অগ্রগতি সাধন করা এবং আত্মার ব্যধি থেকে মুক্তি লাভ করা আবশ্যক। সুতরাং যে ব্যক্তির দীনী বিষয়ে জানা শোনার প্রয়োজন রয়েছে, আমল-আখলাকে ঘাটতি রয়েছে কিংবা আত্মার ব্যধিতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে তাকে তো একজন শিক্ষক, পথনির্দেশক কিংবা চিকিৎসকের দারস্থ হতেই হবে। এ দৃষ্টিকোণ থেকে আমল-আখলাক, আকীদা-বিশ্বাস তথা দীনী মানদণ্ডে উত্তীর্ণ একজন বিজ্ঞ ও বিদগ্ধ আলেমের সংসরফ ও সান্বিধ্য গ্রহণ করলে জান্নাতের পথ সহজগম্য হবে। নতুবা পদস্খলিত হয়ে বিপথগামী হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ যেখানে জাগতিক জীবনে কেউ শিক্ষক বা গাইড ব্যতিরেকে উন্নতির চরম শিখরে পদার্পন করতে সক্ষম হয় না সেখানে দীনী বিষয়টি তো আরো বেশি স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এক্ষেত্রে পথচ্যুতি হলে ইহকাল-পরকাল সব বিধ্বস্ত হবে। আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে দীনী পরিমণ্ডলে স্বশিক্ষা ও একলা চলার মহামারি থেকে নিরাপদ রাখুন। তবে বর্তমানে পীরতন্ত্রের নামে সীমাহীন বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িমূলক আচরণ ও কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হয় যা থেকে নিবৃত্ত থাকা আবশ্যক।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ