ইসলামী শরীয়াতে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের সাথে গভীরতর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে বারণ করা হয়েছে। কারণ বন্ধু-শত্রুতার ব্যাপারটি আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির সাথে ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। কাউকে বন্ধু বানাতে হলে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যেই তাকে বন্ধু বানাতে হবে। কারো সাথে শত্রুতা করতে হলেও একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার সন্তুষ্টির স্বার্থেই তার সাথে শত্রুতা পোষণ করতে হবে। তবে খোদার সৃষ্টি কিংবা প্রতিবেশি হিসেবে শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে যতোটুকু সদাচার একজন বিধর্মীর প্রাপ্য ততটুকু সদাচরণ তার সাথে করতে হবে। এটাকে বন্ধুত্বের পর্যায়ে উন্নীত করা কখনো বৈধ হবে না। সুতরাং ইসলামী শরীয়া মতে একজন মুসলিমের জন্য বিধর্মীদের পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা ও তাদের অনুষ্ঠানাদি উপভোগ করা বিধিসম্মত নয়। উল্লেখ্য, ১। ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মুসলিম বানানোর সদিচ্ছায় তার সাথে উঠা-বসা করা অনুরূপ তার সাথে বসে হালাল খাবার খাওয়া জায়েয আছে। ২। যদি কেউ বিধর্মীদের ধর্ম বিশ্বাসকে সত্য মনে করে কিংবা মনেপ্রাণে ভালবেসে তাদের অনুষ্ঠানে যোগদান করে তবে সে আর মুসলিম থাকবে না। আল্লাহ তা‘আলা সকল মুসলিমকে এহেন গর্হিত কাজ থেকে রক্ষা করুন। Ñ সূরা মায়েদা; আয়াত ৫১, সূরা মুমতাহিনা; আয়াত ১, সুনানে আবূ দাউদ; হাদীস ৩০৯৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৪৭, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩৪৬, ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৬/৩৫৯, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ২৭/৬০।