***যে সব লক্ষণ দেখে বুঝবেন লৌহ জনিত অভাব
বা আয়রন ডেফিসিয়েন্সিতে ভুগছেন *****
অতিরিক্ত ক্লান্তি
হিমোগ্লোবিন রক্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় তাই এর অভাবে মানুষের সাধারণ কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। স্বাভাবিকের চেয়ে কম কাজ করার ফলেই শরীর অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করে। রোগী দুর্বল ও খিটখিটে মেজাজের হয়ে কাজে মনোযোগ দিতে পারে না।
ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া
হিমোগ্লোবিনের ফলে রক্তের রং লাল হয় । এর অভাবের ফলে রক্তের লাল ভাব কমে গিয়ে ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যায় । যদি দেখেন আপনার ঠোঁটের ভেতরে, মাড়ি এবং আপনার নিচের চোখের পাতার ভেতরে স্বাভাবিকের তুলনায় কম লাল তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার শরীরে লোহার অভাব দেখা দিয়েছে।
দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস ও সংক্ষিপ্ত দম
রক্তে অক্সিজেন কম পৌঁছানোর ফলে মানুষ স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত শ্বাস প্রশ্বাস ফেলে, দম ধরে রাখতে পারে না, হার্ট বিট দ্রুত হয় এবং সিঁড়ি বেয়ে উঠতে প্রচণ্ড সমস্যা হয়। এতে শরীর ক্লান্ত ও হাঁসফাঁস লাগে।
স্নায়ুবিক অস্থিরতা
মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম পৌঁছালে মানুষ সহজেই অস্থির বোধ করে। ধৈর্য ধারন ক্ষমতা কমে যায় ।
মাথা ব্যাথা
একটানা মাথা ব্যাথা করা আয়রনের অভাবের ফলে হতে পারে।
অতিরিক্ত চুল পড়া
দিনে যদি ১০০ টার মত চুল পরে তাহলে চিন্তার কিছু নেই কিন্তু প্রতিদিন যদি এর অনেক বেশি চুল পরে তাহলে তা চিন্তার কারন ।
পিরিয়ড ও গর্ভবতী অবস্থা
অতিরিক্ত পিরিয়ডে রক্তের সাথে প্রচুর আয়রন বের হয়ে যায় । এসময় ফলিক এসিড ও লোহার অভাব দেখা দেয় । গর্ভবতী অবস্থায় প্রায় সব নারী এই রোগে ভুগে থাকেন । কেননা গর্ভের শিশু মায়ের শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সংগ্রহ করে । তাই যদি মায়ের খাদ্য তালিকায় পরিমান মত লৌহ সমৃদ্ধ খাবার কম থাকে তাহলে মা লোহার অভাবে ভোগে।
থাইরয়েড সমস্যা
লোহার অভাব থাইরয়েডর সমস্যা কে বাড়িয়ে দেয় ।যদি দেখেন আপনার পরিশ্রমের ক্ষমতা দিন দিন কমে যাচ্ছে, শরীরের তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে, ওজন বেড়ে যাচ্ছে, শরীর ব্যাথা করছে তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন ।
জিহ্বার অদ্ভুত রং ও আকার
আয়রনের অভাবে জিহ্বা ফ্যাকাসে হয়ে মাঝে মাঝে কালশিটে পরে, দানা উঠে । আকারে পরিবর্তন হয় ।কখনো অতিরিক্ত মসৃণ হয়ে যায় ।
হজমে সমস্যা ঃ খাদ্য তালিকায় সঠিক পরিমান আয়রন না থাকলে হজম প্রক্রিয়াকরনে সমস্যা হয়। পেট ব্যাথা হয় , শরীর সঠিক পুষ্টি পায় না।
আয়রনের অভাব পুরনের উপায়
সব বয়সের মানুষের সমান আয়রনের প্রয়োজন নেই। ১৯ থেকে ৫০ বছর বয়সের মধ্যে নারীদের সাধারণত প্রতিদিন ১৮ মিলিগ্রাম আয়রন প্রয়োজন। গর্ভবতীদের প্রয়োজন ২৭ মিলিগ্রাম পর্যন্ত এছাড়া পিরিয়ডের সময় আয়রন বেশি প্রয়োজন । প্রতিদিনের খাবারে ৪গ্রাম করে ডাল, শাকসবজি বিশেষ করে কচু ও কচু শাক, গরুর মাংস, কলিজা, দেশি মুরগি, বাদাম, কলা আয়রনের অভাব পুরনে কার্যকরী ভুমিকা রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে দীর্ঘদিন আয়রনের অভাব অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ক্ষতি করে এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
রক্তশূন্যতার লক্ষণ
সামান্য পরিমাণ রক্তশূন্যতায় তেমন কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। রক্তশূন্যতা প্রকট হলে নিচের উপসর্গগুলো দেখা দিতে পারে—
ক) অবসাদ, দুর্বলতা, ক্লান্তি
খ) বুক ধড়ফড় করা
গ) স্বল্প পরিশ্রমে শ্বাসকষ্ট
ঘ) মাথা ঝিমঝিম করা
ঙ) চোখে ঝাপসা লাগা
চ) মাথা ব্যথা করা
ছ) হাতে পায়ে ঝিনঝিন করা, অবশ ভাব হওয়া
জ) হাত, পা, সমস্ত শরীর ফ্যাকাসে হয়ে আসা
প্রতিকার ----------------
পর্যাপ্ত পরিমানে খাবার নিচের খাবার গুলো খেতে হবে
গরু-খাসির কলিজা, সবুজ শাক-সবজি, ডিম
মাছ, ডাল, বেদানা খাবার গুলো। এই বিষয়টি
বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করে জেনে নিতে পারেন