Call

জন্মের পূর্বেই পিতাহারা হন|শিশু বয়সে ৬বছর বয়সে মাতা ৮ বছরে দাদাকে হারান|ফলে তিনি এতিম হয়ে পড়েন|কিন্তু আল্লাহর করুণা তাকে ছাড়া প্রদান করেছিল|তিনি নিঃস হয়ে পড়েন|সবকিছুই ছিল আল্লাহর নিদর্শন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোনো ছায়া ছিল না বলে যে কথাটি আপনি শুনেছেন তা সত্য নয়। বরং এ সংক্রান্ত যেসব বর্ণনা পাওয়া যায় তার সবই জাল এবং পরিত্যাজ্য। শায়খ ইবনে উসাইমিন রহ. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোনো ছায়া ছিল না বলে যেসব কথা বলা হয় তার সবই মিথ্যা এবং বানোয়াট। আলকাউলুল মুফীদ ১/৬৮। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানতে দেখুন, মারকাযুদ্দাওয়া আলইসলামিয়া এর শিক্ষাসচিব, হাদীস শাস্ত্রের প্রাণপুরুষ শায়খ আব্দুল মালেক দা.বা. এর নির্দেশনায় রচিত প্রচলিত জাল হাদীস (প্রথম প্রকাশনা) ১৮৮।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

হুজুর পাক (সাঃ) এর কোন ছায়া ছিলো না । সূর্যের আলোতেও না , চাদের কিরণেও না ।

হাকীমে তিরমিযী নাওয়ারেদূর উসুল কিতাবে হযরত যাকওয়ান (রাঃ) থেকে এই বর্ণনাটি উপস্হাপন করেছেন ।  'নূর' - হুজুর পাক (সাঃ) এর নাম মোবারক সমূহের অন্যতম নাম । নূরের কোন ছায়া হয় না ।  উম্মুল মোমেনিন হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, " আমি এক রাত্রে সুই দিয়ে কিছূ সেলাই করছিলাম, তখন হঠাৎ করে আমার হাত থেকে সুইটা পড়ে যায় । আমি ইহা খুজতে লাগলাম কিন্তু পেলাম না । তখন হুযুর (সাঃ) ঘরে প্রবেশ করলেন । সুইটা তখন উনার মুখের উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বল করছিলো ।"  কুরআনে মহানবী (সাঃ) কে নূর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছেঃ  এটা ঐতিহাসিক সত্য যে, মহানবী (সাঃ) এর কোন ছায়া ছিলো না । কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ মহানবী (সাঃ)কে নূর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ।  'হে আহলে কিতাবগণ ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমণ করেছেন । কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন । তোমাদের কাছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্হ ।" (সূরা মায়েদা - ১৫)  "হে নবী ! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি । এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তার দিকে আহ্বায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে ।" (সূরা আল-আহযাব -৪৫/৪৬)

   হাদিস থেকে বর্ণিতঃ  হাদিস-১/ সাঈয়েদিনা হাকিম তিরিমিযি উনার নাওয়ারিদূল উসুল গ্রন্হে, মহানবী (সাঃ) এর একজন নিকটতম সাহাবী সাঈয়েদিনা যাকওয়ান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, " মহানবী (সাঃ) এর ছায়া সূর্যের আলোতে বা চাদের কিরণেও দেখা যেত না ।" 

হাসিদ২/ আল্লামা ইবনে আল-জাওযি উনার কিতাবূল-ওয়াফা গ্রন্হে মহানবী (সাঃ) চাচাত ভাই সাঈয়েদুনা আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, " নবী (সাঃ) এর কোন ছায়া ছিলো না, যখন উনি সূর্যের সামনে দাড়িয়ে থাকতেন তখনও নয় বরং উনার আলোর তীব্রতা সূর্যের আলোকে ম্লান করে দিত ; যখন কোন জ্বলন্ত আলোর সামনে বসে থাকতেন তখনও না বরং উনার বিকিরিত আলোর দীপ্তি অন্য আলো থেকে বেশী হত ।"

হাসিদ৩/ ইমাম নাসাফি উনার তাফসীর মাদারিক গ্রন্হে মহানবী (সাঃ) এর জামাত উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে," সর্বশক্তিমান আল্লাহ আপনার ছায়াকে মাটিতে পড়তে দেননি যেন কোন মানুষ তা মাড়াতে পারে "

হাসিদ৪/ ইমাম জালালুদ্দিন সয়ূতি উনার কাসায়েসুল কোবরা গ্রন্হে ইবনে সাবা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, " এটা মহানবী (সাঃ) এর একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ছিলো যে উনার ছায়া মাটিতে পড়ত না কারণ তিনি 'নূর' ছিলেন এবং যখন তিনি সূর্যের আলোতে হাটতেন তখন উনার ছায়া দেখা যেতনা ।"

   (প্রমাণিত)

 

সূত্রঃ  ১. মাদরিজ উন নবুয়ত । শায়েখ আব্দুল হক মোহাদ্দেছে দেহলভী (রহঃ) । 

২. মুক্কশাফাতূল ক্বুলুব -ইমাম গাজ্জ্বালী (রহঃ)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ